সারিয়াকান্দিতে পুলিশের পেশাগত কাজ ও আসামী ধরতে বাধা থানায় মামলা

115

শিবলী সরকার,বগুড়া এক্সপ্রেসঃ- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী রামচন্দ্রপুরে দুইজন মাদক কারবারি কে লোপেন্টা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার পুর্বক প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পরেছে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ। এসময় আসামী কে গ্রেফতার করতে বাধা প্রদান করে স্থানীয়রা এমন টাই জানাগেছে স্থানীয় সুত্রে।

আরো জানা যায়, ২৫শে ফেব্রুয়ারী শনিবার সারিয়াকান্দিতে অভিযান চালিয়ে দুইজন মাদক কারবারি কে গ্রেফতার করে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিক্রেতা রামচন্দ্রপুর বাজারে বিসমিল্লাহ ফার্মেসী তে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান কালে কোন মাদক উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ সময় বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর মালিক সেবীন মিয়া কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসতে গেলে জনরোষের মুখে পরে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ। স্থানীয়রা ঐ আসামীকে ধরতে বাধা দেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো মাদক কারবারি যদি বিক্রেতার তথ্যদেয় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। এখানে মাদক পাওয়া না পাওয়া জরুরী না। এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সেবীন মিয়ার বড় ভাই আজাদ মিয়ার সাথে কথা হলে সে দাবী করেন, তার ভাই সেবীন আর মাদকের ব্যাবসা করেন না। আর যাহাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেবীন কে গ্রেফতার করতে আসেন, ঐ দুইজন কে তারা চিনেন না। যারা পুলিশ তথ্য দিয়েছে তাদের কখনো দেখেন নাই তারা বা তাদের কাছে কোন মাদক বিক্রি করেন নাই। সেবীনের পরিবারের ভাষ্যমতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্যদিয়েছে ঐ দুইজন। এছাড়াও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও ধস্তাধস্তি এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজাদ মিয়া বলেন, এই ঘটনা স্থানীয়রা দেখেছেন এবং ভিডিও ফুটেজ আছে।

এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী প্রতিবেদক শিবলী সরকার কে বলেন, পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযান কালে কিছু পাওয়া না গেলেও গ্রেফতারকৃত দুই মাদক কারবারি জানিয়েছেন ঐ ফার্মেসীর মালিকের কাছে থেকে তারা মাদক ক্রয় করেছেন। এর আগেও দুইবার মাদক বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলো সেবীন মিয়া। সে খুব সতর্কতার সাথে অতি কৌশলে ঐ এলাকায় পুনরায় মাদক বিক্রি শুরু করেছে। তার দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরা এই কারনেই বন্ধ করেছেন সে। অভিযান কালে স্থানীয়দের উস্কে দিয়ে পুলিশের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করেছে এবং লাঞ্চিত করেছে তারা। সাধারণ ভাবে তথ্যের ভিত্তিতে সেবীন কে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। সাধারণ মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে সেইটার সুযোগ নিয়েছে তারা। এই ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।