দুপচাঁচিয়ায় সৎ বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণ,অবশেষে গ্রেফতার

55

দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)প্রতিনিধি।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সৎ বাবা কর্তৃক মিয়েকে ধর্ষণ,অবশেষে গ্রেফতার।
উল্লেখ্য,আসামী আমজাদ হোসেন(৫৫).কাহালু থানার বীর কেদার ইউনিয়নে মৃত-কোরবান আলীর ছেলে।ভিকটিম রিমা খাতুন(১৯)তার মেয়ে।রিমার মা বেদেনা খাতুন(৫২)এর সঙ্গে আসামী আমজাদ হোসেনের প্রায় ৫ বছর যাবত বিয়ে হয়েছে।মা বসবাস করেন দুপচাঁচিয়া থানাধীন ধাপের হাট (ছাগল হাটির সংলগ্ন) এলাকায়।আসামী আমজাদ হোসেন মাঝে মাঝে বীরকেদার হইতে এসে ধাপেরহাটে আমার মার সংগে থাকতেন।ভিকটিম রিমার সৎ বাবা, তার মাকে সংসারের জন্য কোন খরচ দিতেন না।মা ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতো। রিনা খাতুন গত এক বছর যাবত তার স্বামী সঙ্গে দ্বন্দ হওয়ায় মা বেদেনা খাতুন এর কাছে চলে আসেন।রিমা খাতুন এর বিয়ে হয় কাহালু থানার তিনদিঘী এলাকায় পিলখঞ্জ গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রকি সংগে। আসামী ৩০ জুন সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমজাদ হোসেন তার নিজ বাড়ি বিরকেদার হতে দুপচাঁচিয়া ধাপের হাট সংলগ্ন এলাকায় স্ত্রী বেদানা খাতুন এর কাছে এলে দেখে বাড়িতে তার মা নেই সুযোগ বুঝে তার মেয়ে রিমা খাতুন(১৯)কে বাড়িতে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ও একটি দা নিয়ে হত্যার ভয়-ভীতি দেখালে ভিকটিম চুপচাপ থাকে। গত ৭ আগষ্ট সোমবার পুনরায় আসামী আমজাদ হোসেন আবার আমাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে নিকটে আমার মামার বাড়িতে গিয়ে মামা মোঃ রাজ্জাক (৪০)কে এইসব ঘটনা বিস্তারিত জানায়।আসামী আমজাদ হোসেন সেই মুহূর্তে পালিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনা ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,ভিকটিম রিমা খাতুন ও তার মামা সহ আত্মীয়-স্বজন থানায় একটি এজাহার দায়ের করে,উক্ত এজাহারটি সত্যতা যাচাই-পূর্বক আসামী আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামী আমজাদ হোসেনকে বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।