বগুড়ায় মহাসড়কে মরদেহ রেখে বিক্ষোভ

49

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে থেকে রোহান চৌধুরী (২২) নামে এক আসামিকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মহাসড়কে মরদেহ রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহত ব্যক্তির স্বজনসহ এলাকাবাসী।

বগুড়া মাটিডালি-বনানী দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের মানিকচক বন্দরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এতে ১৫ মিনিট পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবার থেকেও মামলা করা হয়নি।

নিহত স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, এলাকার আধিপত্য ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাবেক ইউপি মেম্বার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়াকে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনের করা মামলায় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) শাওন নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

বুধবার (১১ অক্টোবর) মামলার অন্য দুই আসামি রোহান চৌধুরি ও সেলিম বগুড়া চিফ জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে যান। এসময় আদালতের সামনে থেকে রোহন ও সেলিমকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অপহরণ করে রাজাপুর ইউনিয়নের মন্ডলধরন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন গিয়াসউদ্দিনসহ দৃর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে রোহান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অটোরিকশায় তুলে তাদের দুজনকে জয়বাংলা হাটে ফেলে যাওয়া হয়। দুপুরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রোহানকে মৃত ও সেলিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

রোহানের চাচা ফারুক চৌধুরী বলেন, আজ বিকেলে আসরের নামাজের পর রোহানের জানাজা ও দাফন হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনের মোবাইল ফোন বন্ধ। তাদের বাড়িঘরও তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান জানান, স্বজন ও এলাকাবাসী মহাসড়কে মরদেহ রেখে বিক্ষোভ করেছেন। পরে তাদের অনুরোধ করলে তারা সরে যান। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।।