নন্দীগ্রামে পশু হাসপাতালের সার্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

41

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। অফিস চলাকালিন সময়ে সার্জন ডাঃ শরিফুল ইসলামকে না পেয়ে সেবাপ্রার্থীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার কামুল্যা গ্রামের পশু পালনকারী রাসেল মাহমুদ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কল্পনা রানী রায় অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসক এবং অভিযোগকারীকে ডেকে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছি।
অভিযোগে বলা হয়, অফিস চলাকালিন সময়ে সার্জনের কক্ষ আড্ডাস্থলে পরিনত এবং অফিসের বাইরেও আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন। অসুস্থ গরু-ছাগলের চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে ভেটেরিনারি সার্জনকে না পেয়ে মাঝেমধ্যেই সেবাপ্রার্থীরা ফিরে যান। সার্জনের অনুপস্থিতিতে অন্য কর্মকর্তারা পশুর চিকিৎসা দেন। তিনি অফিস কক্ষে বসে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর লোকজন নিয়ে গল্প-আড্ডায় ব্যস্ত থাকায় সেবাপ্রার্থীরা বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে বিড়ম্বনার শিকার হন। গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত গরু-ছাগলের চিকিৎসা দিয়ে ভিজিট নেন ভেটেরিনারি সার্জন। তিনি যেসব ওষুধগুলো লিখেন, সেগুলো তারই পছন্দের ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। ফার্মেসির নামও বলে দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সার্টিফিকেট ও প্রশিক্ষণ বিহীন কথিত ডাক্তারদের আনাগোনা থাকায় সেবাপ্রার্থীরা প্রতারিত হচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাতুড়ে ডাক্তাররা পশুর অপচিকিৎসা দিচ্ছে এবং পশু পালনকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে মোটাঅংকের ভিজিট গ্রহণ করছে। অপচিকিৎসায় মাঝেমধ্যেই গরু-ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পৌরসভার নামুইট, উপজেলার হাঁটুয়া আলাইপুর, কাথম সহ বিভিন্ন গ্রামে অপচিকিৎসায় গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান ও জামাল উদ্দিন নামের দুই খামারি বলেন, বিভিন্ন লোকাল (অনিবন্ধিত) ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভেটেরিনারি সার্জনের সখ্যতা রয়েছে। তিনি লোকাল কোম্পানীর ওষুধ লিখে দিয়ে নিয়মিত অনিয়ম করছেন। এ কারণে খামারিরা প্রতারিত ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য নিতে বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গিয়ে ডেইরী ও পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ শরিফুল ইসলামকে তার অফিস কক্ষে পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ভেটেরিনারি সার্জনের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।