তাবলীগে যেয়েও শেষ রহ্মা হলোনা আরিফ হত্যার ৩ আসামীর

41

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্কঃ বগুড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে (২৬) কুপিয়ে হত্যার পর তিন যুবক তাবলিগ জামাতের ‍মুসুল্লী বেশে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে আত্মগোপন করে ছিলেন। সেখান থেকে তারা তাবলিগ জামাতের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার। তিনি জানান, বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি টিম, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পূর্ব খাঁপাড়ার মিলু শেখের ছেলে সাকিব শেখ (১৯), তার বড় ভাই সানমুন শেখ (২৩) ও হাতেম আলীর ছেলে হিমেল শেখ (২৩)।
গত ৭ অক্টোবর সাকিব শেখকে ছুরিকাঘাতের প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে খুন করা হয় বলেন পুলিশ জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সুলতানগঞ্জ সড়কের গলিতে দুর্বৃত্তরা আরিফকে কুপিয়ে খুন করে। পরদিন নিহতের মা তহিরন বেগম বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন সাকিবকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হলে আরিফ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ১৮ দিন জেল হাজতে ছিল। জামিনে মুক্তি পাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় সাকিবের নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আরিফ হত্যাকাণ্ডের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা আসামিদের শনাক্ত করা হয়। আসামি হত্যাকাণ্ডের পরপরই জয়পুরহাট জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে। সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা ঢাকায় গিয়ে কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তারা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, মসজিদে মুসল্লি বেশে আশ্রয় নেওয়ার পর তারা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হবে। এ ছাড়াও জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ওসি।
সূত্র আজকের পত্রিকা অনলাইন