আদমদীঘিতে সফল নারী উদ্যেক্তা ও সেরা পশু খামারি

57

 

সজীব হাসান,, (আদমদীঘি) প্রতিনিধি:
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার গোড়গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ নিগার সুলতানা বিজলী পশু খামার করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। নিজ সন্তানদের সুযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য লেখাপড়া করিয়েছেন। একটি গাভী থেকে হতে সব্বোর্চ দুধ উৎপাদনকারী খামারী হিসেবে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন তিনি । প্রতিদিন গড়ে ১০৭ লিটার গরুর দুধ বিক্রি হয় বলে জানান তিনি। বর্তমানে তার খামারে ৮টি উন্নতমানের গাভী আছে। তাছাড়া কোরবানীর ঈদের জন্য গরু বিক্রি করেছেন
কয়েকটি গরু। বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএনডিপি তাঁর কর্মদক্ষতা দেখে একটি খামার ও শেড নির্মাণ করে দিয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ কৃষক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক তিনি। বিজলী উপজেলা ডেইরি এসেসিয়শনের সাধারন সম্পাদক।
উপজেলা থেকে সামান্য দুরে বিজলীর বাড়ি। আধাপাকা ৩/৪ টি বসত ঘড়। তার সাথে আছে গরু লালন পালন করার জন্য দুটি শেড। দুটি শেডে ৪ টি বিশাল আকৃতির গরু আছে। ক্রেতারা প্রতিটি গরু সাড়ে তিন লখ টাকা দিয়ে ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানান। এছাড়া বাড়ির এক পাশে আছে ৪২ জোড়া উন্নত জাতের কবুতর। বাড়ির পাশে ইউএনডিপি কর্তৃক নির্মিত আরেকটি উন্নত গরুর ফার্মের শেড আছে। সেখানে আছে ৪টি গরু। ৪/৫ জন কর্মচারী আছে তার গরু লালন পালন করার জন্য। তিনি জানান সম্পন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তিনি গরুর খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে তিনি গরু লালন পালন করেন। গরুর খাদ্যর জন্য তিনি
নিজ বাড়ির পাশে উন্নত জাতের ঘাস লাগিয়েছেন।
একজন খামারি হিসেবে বিজলী গরু কেনা-বেচা করেন।
কোরবানীর বেশ কয়েকমাস আগেই তিনি বিভিন্ন ফার্ম বা এলাকার হাট থেকে কম বয়সী কয়েকটি গরু কেনেন। সে গরুগুলি উন্নত পদ্ধতিতে লালন পালন করে কোরবানির সময় তিনি গরু গুলি বিক্রি কর থাকেন । তবে তার খামারে বিশাল আকৃতির ৪টি গাভী আছে। যা থেকে তিনি প্রতিদিন ১০৭ লিটার মতো দুধ বিক্রি করেন । স্থানীয় হোটেল মালিক ক্রেতারা তার দুধ কিনে নেন। প্রতি লিটার দুধ বর্তমানে ৭০ টাকা লিটারে বিক্রি করে থাকেন তিনি । সেরা এই নারী খামারী হিসেবে তিনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে ও বগুড়া জেলা থেকে মোট ৪ বার পুরস্কিত হয়েছেন। অসুস্থ্য গরুর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবা পাচ্ছেন উপজেলা প্রাণী সম্মদ অফিস থেকে। বর্তমান তাঁর খামারে মোট ৪২ জোড়া উন্নতজাতের কবুতর আছে। তিনি এই গুলো বিভিন্ন জায়গায় কেনা-বেচা করেন। এসব কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তার স্বামী রহমান আলী তালুকদার। তাঁর দুটি ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। মোছাঃ নিগার সুলতানা বিজলী জানান সরকারের প্রণোদনা পেলে বা সহযোগিতা পেলে তার গরুর ফার্মটা আরো বড় করার ইচ্ছা আছে। আর দেশের শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই কার লক্ষ্য। আদমদীঘি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ আমিরুল ইসলাম জানান বিজলী ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী নিগার সুলতানা বিজলী অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সফল নারী পশু খামারি। তার খামারের পশুর লালন পালন বিষয়ে আমরা সব সময় পরমর্শ দিয়ে আসছি।