বিক্ষোভের মুখে ছুটিতে বিচারক আসাদুজ্জামান নূর

118

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতারা।

ঢাকা বারের সহ-সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোহাম্মদ আখতার উজ্জামান হিমেল  বলেন, আমরা সিএমএম এএম জুলফিকার হায়াতের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানান, ওই বিচারককে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বিচারককে প্রত্যাহার করা হবে মর্মে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আপাতত তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক আদেশ আসবে।

এই আশ্বাসের পর আইনজীবীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেন৷ এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিএমএম আদালতের বিচার কাজ হয়। এখন বিচারকাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।

এর আগে এক আইনজীবীকে আসামির লক আপে দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে এই বিচারকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ আইনজীবী ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর-এর এজলাস কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে তালা দিয়ে দেন।

এরপর আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সিএমএম আদালতের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ওই বিচারকের অপসারণ চেয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে সিএমএম আদালতের বিচারকাজ বন্ধ থাকে।

লক আপে আটক রাখার অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

ওই আইনজীবীর নাম রুবেল আহমেদ ভুঞা। আবেদনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার তিনি ওই আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যান। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন বলে জানান। কিন্তু ১১টার দিকেও বিচারক না উঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চান।

আবেদনে আরও বলা হয়, পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক ওই আইনজীবীর মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন।

ওই আইনজীবী বলেন, পরে গেলে আমাকে দুই ঘণ্টা লক আপে আটকে রাখেন এবং বলেন আমার সনদ বাতিল করে দেবেন এবং সব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেবেন আমার মামলা না শোনার জন্য। আমি বিষয়টিতে চরম অপমান বোধ করছি এবং উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

মঙ্গলবার রাতে অবশ্য ওই আইনজীবী  জানিয়েছিলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতারা ও সিনিয়র আইনজীবীরা মিলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। ওই বিচারক তার কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷