এফডিসির যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম: এক মালয়েশিয়ানসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

133

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) মালামাল কেনার নামে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এক মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ ৩ জনকে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

রায়ে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার মেসার্স নভেলকোর (এম)-এর কর্মকর্তা জন নোয়েল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিনিধি খন্দকার শহীদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ‘ক্রয়কারী প্রকল্প’ পরিচালক শফিকুল ইসলামকে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া, এই ৩ জনকে আরও ৩০ লাখ ৪২ হাজার ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অসাধু উপায়ে আত্মসাৎ করা ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।

এফডিসির আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি কেনার নামে সরকারের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান। মামলায় মালয়েশিয়ান নাগরিক জন নোয়েল, খন্দকার শহীদুল, শফিকুল ইসলাম এবং বিএফডিসির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসামি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২ মার্চ পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির তদন্ত করেন দুদক উপপরিচালক ফিড আহমেদ পাটোয়ারী। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার করেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।