শেরপুরে আওয়ামীলীগের ৪টি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ

127

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সাত্তারের ৪টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে দৃর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ৮ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ জঘন্যতম ঘটনা প্রতিপক্ষের কিছু দুস্কৃতিদের দ্বারাই সংঘটিত হতে পারে বলে দাবী করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্বাচনি অফিসগুলো পরিদর্শন করেছেন শেরপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, আগামী ১৬ জানুয়ারী শেরপুর পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীগন। নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন নির্বাচনি অফিস করেন। এসব নির্বাচনি অফিস থেকেই তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়। ৮ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর রাতের দিকে শেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দুবলাগাড়ী(এমপির বাসভবনের পাশে), ৬ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া ও ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরসাহাপাড়ার কলাপট্টি এবং পৌর শিশুপার্ক এলাকায় অবস্থিত নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির নেতা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ভূট্টো বলেন, নৌকার বিজয় ঠেকাতেই প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং নৌকার প্রার্থীর নিশ্চিত বিজয় সহ্য করতে না পেরে প্রতিপক্ষরা এ জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষ অত:পর নির্বাচনী অফিস অগ্নিসংযোগ করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষরা। তবে স্থানীয় দলীয় ফোরামে আলোচনা করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে মাঠ পর্যায়ের ভোটাররা বলছে ভিন্ন কথা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারেরই এমন সংশয় রয়েছে যে, এটা একটা নির্বাচনী কৌশল হতে পারে।প্রতিপক্ষ মাঠে না থাকলে নির্বাচনে জেতা সহজতর হবে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্বাচনি অফিসগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। দুস্কৃতিকারীদের সনাক্তে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে এখনো আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি।