বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে- শফিক

136

এস এম সালমান হৃদয় স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেছেন, ১০ জানুয়ারি বাংলার মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে অনুভব করেছিল পরিপূর্ণ বিজয়ের স্বাদ। জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সবসময় দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের বাংলাদেশ।  পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিনবছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দেশের উন্নয়ন স্তব্ধ করতে পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীচক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে। তারা  দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। বিএনপি-জামাত সরকার এ ধারা অব্যাহত রাখে।

 

তিনি বলেন, ২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। এদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। গত বারো বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদন্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। মাথাপিছু আয়, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের সক্ষমতা। বীরের জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। পরাজিত শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নাম এখন অনেক ওপরে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সব স্তরেই রচিত হচ্ছে বিজয়গাঁথা। সমুদ্র থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে বাংলাদেশের বিজয়ের চিহ্ন। উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী পৌরসভার নির্বাচনে উন্নয়নের প্রতিক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে বগুড়ার উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৫০ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রবিবার দুপুরে বগুড়া শহরের চারমাথা কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে শীত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৫’শ অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদশা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া পান্না, জেলা আ’লীগ নেতা শাহ আখতারুজ্জামান ডিউক, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল হাসান ববি, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা মোটর মালিক গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, শাজাহানপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, বাদল কুন্ডু, মাহবুবুর রহমান আকাশ, সেভিট মন্ডল,সাহিদুল ইসলাম রতন, লিটন প্রামানিক প্রমুখ।