ধুনট পৌর নির্বাচনে ১৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর কাঁধে ৩৭ মামলা!

110

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩২জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫জন বিভিন্ন আইনে ৩৭টি মামলার আসামি। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, মারামরি, সংঘর্ষসহ রাজনৈতিক ঘটনায় দায়ের করা মামলা। এরমধ্যে ১১টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং ২৬টি মামলা থেকে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তৃতীয় ধাপে আগামী ৩০ জানুয়ারী ধুনট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চারজন মেয়র, ১০জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৩২জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জানা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী। এরমধ্যে মুনজিল হোসেনের নামে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং সোলাইমান আলীর নামে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ২নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে ওসমান গনির নামে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। রফিকুল ইসলামের নামে তিনটি মামলার দুটি বিচারাধীন ও একটি থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ৫নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে হেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রাজিবুজ্জামানের নামে আটটি মামলার মধ্যে একটি বিচারাধীন এবং সাতটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেলিম রেজার নামে চারটি মামলার মধ্যে দুইটি খালাস ও দুইটি বিচারাধীন রয়েছে। শাহাজাহান আলীর নামে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ৬নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক সেখের নামে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ফারাইজুল ইসলামের নামে সাতটি মামলার মধ্যে দুইটি বিচারাধীন ও পাঁচটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সামুছ উদ্দীন মল্লিকের নামে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ৭নম্বর ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থীর মধ্যে আপাল সেখের নামে একটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়ও ৮নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আল আমিনের নামে দুইটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ফোরহাদ হোসেনের নামে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ৯নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের নামে দুইটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।