ধুনট মথুরাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাঃসম্পাদক প্রার্থী -জাহাঙ্গীর আলম

106

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ এগিয়ে যাচ্ছে সমাজ,শাণিত হচ্ছে মানুষের চিন্তাধারা। বরাবরই তরুণ প্রজন্ম সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে সুচনা করেছে নবজাগরনের। যার নেপথ্যে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছে শিক্ষিত সচেতন সমাজ। সেই শিক্ষিত সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী এক আলোকিত মুখ প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ডলার।

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) ১৯৭৮ সালে ২৮ শে অক্টোবর ধুনটের মথুরাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা মরহুম গোলাম হোসেন ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দাদা ছদর উদ্দিন মুন্সী এলাকার বিশিষ্ট সম্মানীত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। জানা যায়, তাঁর মাধ্যমে কাশিয়াহাটা গ্রামে অসংখ্য লোক পবিত্র কুরঅান শরিফ শিক্ষা লাভ করেন। মোট কথা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমের রক্তে বইছে শিক্ষকতা,মানবতা,মহানুভবতা,সামাজিকতার বিশেষ গুণ।

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৪ সালে খাটিয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং ১৯৯৬ সালে সরকারি আজিযুল হক কলেজ থেকে এইচ এস সি’তে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ণ হন। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ২০০০ ইং অনার্স ও ২০০২ সালে মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে জি এম সি ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। বৈবাহিক জীবনে প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) ১ সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া আব্বাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম ডলার ছাত্র রাজনীতি থেকে মুজিবীয় আদর্শে অনুপ্রানীত ছিলেন। তারই ফলশ্রুতি স্বরুপ ১৯৯৪ সালে সরকারি আজিযুল হক কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে সক্রিয় ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০২ সালে আওয়ামীলীগের সংকট ময় পরিস্থিতিতে তিনি অনাবধ্য ভুমিকা রাখেন। এছাড়া ২০০৪ সালে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করায় তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত মথুরাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৪ সালের শেষের দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

কাশিয়াহাটা গ্রামের কৃতিসন্তান প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক,ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে সংযুক্ত আছেন। বিশেষ করে কাশিয়াহাটা এতিম খানা মাদ্রাসা, আমাদের প্রাণের লাইব্রেরী ও মেধাবিকাশ বৃত্তি ফাউন্ডেশন সহ জি এম সি ডিগ্রি কলেজে দরিদ্র মেধাবি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়ত করে থাকেন।

পরিচ্ছন্ন এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বরাবরই যুব সমাজের কল্যানে অগ্রণী ভুমিকা রাখেন। মাদক,বাল্য বিবাহ্,দূর্ণীতির বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন সময় জনগনকে সংগঠিত করে প্রতিবাদ করে আসছেন। যার ফলে তিনি হয়ে উঠেছেন সাধারন মানুষের অভায়ারণ্য আশ্রয়স্থল।

ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) বলেন,আসন্ন দলীয় কাউন্সিলে সকলের দোয়া নিয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি। আমি আমার সততা ও যোগ্যতায় মথুরাপুর ইউনিয়নে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক চিন্তা ধারার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। এ বিষয়ে সকলের সহযোগীতা কাম্য।

তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রভাষক- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) প্রসঙ্গে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হাসান আহম্মেদ জেমস্ মল্লিক বলেন, বরাবরই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তরুণ মেধাবি,শিক্ষিত সচেতন সমাজকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদোন্নতি করেন। প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ডলার তার ব্যতিক্রম নয়। ত্যাগী ও যোগ্যরা সমাজে নেতৃত্ব দিবে সেটাই আমার প্রত্যাশা। প্রভাষক- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ডলারের জন্য রইল শুভ কামনা।

এ প্রসঙ্গে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সেলিম বলেন,প্রভাষক- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ডলার) একজন শিক্ষিত সচেতন নাগরিক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে একজন দলীয় নিবেদিত নেতা ও তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসাবে চিনি। দেশকে এগিয়ে নিতে সচেতন মানুষেরই প্রয়োজন।