সমালোচকরা পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে দেশ

117

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে করে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণিত হল সমালোচকরা পরাজিত হয়েছে পরাজিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ও সরকারি- বিরোধীদলের এমপিরা।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পদ্মা সেতুর সময় কোন কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্র করায় বিশ্ব ব্যাংকের ফান্ডটাও আমরা পাইনি। তারা প্রত্যাহার করলো, তার বললো আমাদের এখানে নাকি দুর্নীতি হয়েছে অনিয়ম হয়েছে। সাহসের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুরে দাঁড়ালেন উনি বললেন, ঠিক আছে আমরাই করব। সে দিনের সেই প্রত্যাহার, প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিতে তিনি এই পদ্মা সেতু করলেন। তাতে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ হয়েছে আমাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে আমাদের অগ্রগতি কিছুটা থমকে গেছে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব যোগ হবে। সবদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সেভাবেই এগিয়ে চলছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা বলেন, গত ৭ বছরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ও উপনেতা জিএম কাদের নেতৃত্বে সরকারের ভেতরে বাইরে সকল শুভ কাজের প্রশংসা যেমন করেছেন ঠিক তেমনি জনস্বার্থ বিরোধী কোন কাজ চোখে পড়লে তার গঠনমূলক ও সমালোচনা প্রতিবাদ করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা নির্বাচনী এলাকায় গত ৭ বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এখনো অনেক কাজ চলমান আছে। কদতলী এলাকার সারাজীবনের কান্নাখ্যাত জলাবদ্ধতা আজ জাদুঘরে যাওয়ার পথে। কদমতলী জলবদ্ধতা নিরসনে ধোলাই পাড় থেকে পোস্তঘোলা পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে।

ভাস্কর্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয় সমগ্র বিশ্বে ভাস্কর্যকে শিল্প হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ এই ভাস্কর্য শিল্প। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, আমার ধর্মের কোন উগ্রতা, ধর্মান্ধ আর জঙ্গিবাদের স্থান নেই। অথচ দুঃখের বিষয় দেশের কতিপয় ধর্মান্ধগোষ্ঠী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের নাম করে দেশের হাজার শিল্প সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আইকন হিসাবে উনি ১৭ কোটি মানুষের অন্তরের কথা বোঝেন। উনি আজকে বিশ্বের মানচিত্রে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসাবে পরিচিত করেছেন। তাই মনে করি এতো কিছু হওয়ার পরে দুষ্কৃতিকারী এবং দুর্নীতি পরায়ণ ব্যবসায়ীদের কারণে আজকে দেশের উন্নয়ন থামকে যেতে পারে না। দেশের ১৭ কোটি মানুষ আপনার সঙ্গে আছে, কি আপনার ভয়? এই দেশকে যেভাবে আপনার পিতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, আপনার সঙ্গে আমরা আছি, আপনিও সেই নীতিতে চলবেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা বাংলাদেশ সফল হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বহুল প্রত্যাশিত করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। সমালোচকরা আবারও পরাজিত হল।

সুত্র বার্তা২৪