ধুনট(বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ধর্ষকের পিতা সাহেব আলীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাহেব আলী উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের জোসু প্রামানিকের ছেলে।
প্রায় দুই মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার সকালের দিকে ধুনট থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যমুনা নদীর মাধবডাঙ্গা বাঁধে আশ্রিত বাস্তুহারা পরিবারের মেয়েটি (১৪) একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েটিকে প্রতিবেশী সাহেব আলীর ছেলে লিমন মিয়া (২৬) প্রায় ছয় মাস আগে প্রেম প্রস্তাব দেয়। কিন্ত মেয়েটি লিমনের প্রেমে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে বখাটে লিমন। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়েটি লিমনের বাবাকে জানানো হয়। কিন্ত ছেলেকে শাসন করতে পারেনি সাবেহ আলী।
গত ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটি তার পড়ার কক্ষের বিছানায় একাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই ঘরের পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল মেয়েটির মা-বাবা। ওই দিন রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েটির ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে লিমন। এক পর্যায়ে লিমন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন লিমনকে আটক করে। পরে বিচার দেওয়ার কথা বলে লিমনকে ওই বাড়ি থেকে ছেড়ে নেয় লিমনের বাবা সাহেব আলী।
কিন্ত এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে ধর্ষণের মা বাদি হয়ে ২৮ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় লিমন মিয়া ও তার বাবা সাহেব আলীকে আসামী করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দেন। আদালতের আরজিটি বুধবার সকালে ধুনট থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ৮ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষায় চিকিৎসা সনদে ধর্ষনের আলামত মিলেছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আদালতের আদেশে মামলাটি রেকর্ডের পর এজাহারভুক্ত আসামী সাবেহ আলীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
