বগুড়ায় করতোয়া হোমিও হল থেকে অবৈধ ১৫শ লিটার স্পিরিটসহ সরঞ্জাম উদ্ধার

156

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া শহরের করতোয়া হোমিও হলের ল্যাবরেটরিজ থেকে অতিরিক্ত মজুদ রাখা ইথাইল অ্যালকোহোল ও রেকটিফাইড স্পিরিটসহ বিপুল পরিমাণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে আটক করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপসহ বিভিন্ন ওষুধ। একটি বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ল্যাবরেটরি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল।

এর আগে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই হোমিও হলের মালিক শাহীদুল আলম সবুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দুই দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে এই মজুদের সন্ধান পেল পুলিশ। অভিযানে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এসব মালমাল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধতা যাচাইয়ে নেয়া হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত।

এদিকে রোববার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত বগুড়ায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরমধ্যে মদ পান করে অসুস্থ একজনের স্বজন বগুড়া সদর থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ জানান, ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গড়ে তোলা হয়েছিল অবৈধ রেকটিফাইড স্পিরিটের কারখানা। এই কারখানায় হোমিও ওষুধ তৈরির আড়ালে স্পিরিটের সঙ্গে খাওয়ার অযোগ্য মিথানল ও ইথানল মিশিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল ‘বিষাক্ত বাংলা মদ’। কারাখানার প্রায় পাঁচটি কক্ষের প্রতিটিতে বসানো হয়েছে নানা রকমের যন্ত্রপাতি। এছাড়া নোংরা ড্রামের ভেতরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে লিকুইড এসব মাদক।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বগুড়ার উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, করতোয়া হোমিও হলের মালিক সাহেদুল ইসলামের নামে বছরে ২৯ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিট বরাদ্দ আছে।