মিরাজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি,বাংলাদেশ ৪৩০

155

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয়দিন আলো ছড়ালো মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট। করলেন সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। শুধু টেস্টে নয়, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরি। সকালের সেশনের শুরুতেই লিটন দাসের আউটের পর মেহেদি হাসান মিরাজ এসে জুটি বাঁধেন সাকিবের সঙ্গে। একপ্রান্ত থেকে ধীরে সবাই ফিরে আসেন। কিন্তু মেহেদি মিরাজ ঠিকই এগিয়ে যান। সাকিবের আউটের পর মূলত লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়েই তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান। হাফসেঞ্চুরির পর যেন ম্যাজিকাল কায়দায় ব্যাট করলেন মিরাজ। চা রিবতির খানিক আগে ১৬০ বলে সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন এই ডানহাতি।

চট্টগ্রামের লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেটে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন দলের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। কিন্তু সাদমান, সাকিব, মুশফিক, লিটন কেউ তাদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। সেই সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগালেন মেহেদি মিরাজ।

চা বিরতির খানিক আগে স্পিনার ওয়ারিকনকে প্যাডেল সুইপ করে ফাইন লেগে বল পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে মিরাজ নিজের সেঞ্চুরির আনন্দে মেতে উঠেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমান যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন মিরাজের রান ৯২। মুস্তাফিজুরের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে ব্যাটিংয়ের কৌশল ঠিক করে নিলেন। সেঞ্চুরি পেতে বেশি সময়ও নিলেন না।

ব্যাটিং অর্ডারে ৮ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির সুযোগ তেমন পাননা। মেহেদি সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন। দারুণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাট করে গেলেন। ভাগ্যেরও কিছুটা সহায়তা পান তিনি। ২৫ এবং ৮৫ রানে তার ক্যাচ ড্রপ হয়।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদি মিরাজ ১০৩ রানে যখন আউট হলেন তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান ৪৩০।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরি
ব্যাটম্যানরা তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন এখন চট্টগ্রাম টেস্টে হাসি ধরে রাখার বাকি কাজ বোলারদের। উইকেটে বল যেভাবে টার্ন করছে তাদের নিশ্চিতভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের জন্য বাংলাদেশের স্পিন সামাল দেওয়াটা হবে- বড় চ্যালেঞ্জের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১ম ইনিঃ ৪৩০/১০ (১৫০.২ ওভার, সাদমান ৫৯, তামিম ৯, নাজমুল হোসেন ২৫, মমিনুল ২৬, মুশফিক ৩৮, সাকিব ৬৮, লিটন ৩৮, মেহেদি মিরাজ ১০৩, তাইজুল ১৮, নাঈম ২৪, মুস্তাফিজুর ৩*, অতিরিক্ত ১৯, ওয়ারিক্যান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, রোচ ১/৬০, শ্যানন ১/৬৯, বোনার ১/১৬)।