শীতে আর কষ্ট পেতে হবে না ষাটোর্ধ্ব আতেজান বেওয়াকে

151

মোঃ আহসানুর রহমান নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বামন গ্রামের বিধবা আতেজান বেওয়া বলেন, কনকনে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ বিত্তবান অনেকের কাছে ছুটে গেছি। কম্বল দেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু কিছুই পাইনি। আগুন জ্বেলে রাত কাটাতে হয়েছে। দুইদিন আগে কয়েকজন লোক বাড়িতে এসে আমাকে একটা লেপ দিয়ে যাওয়ায় খুশি হয়েছি। কখনও কল্পনাও করিনি লেপ পাব।

মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আতেজান বেওয়া। লেপ পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে তার। তিনি বলেন, এখন আর শীতে কষ্ট পেতে হবে। যারা লেপটা দিয়েছে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে উপজেলার এমন অসহায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র হিসেবে কভারসহ একটি করে লেপ প্রদান করেছে ‘শীতের হাসি’। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায়দের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে লেপ ও একটি করে লেপের কভার। আর মাঘ মাসের কনকনে শীতে লেপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শীতার্ত মানুষগুলো।
‘শীতের হাসি’ সংগঠনের সভাপতি ও উদ্যোক্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, ২০১৯ সালে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছর নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলার ১০০টি পরিবারকে একটি করে লেপ ও লেপের কভার দেয়া হয়েছে। সংগঠনের সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের দাতাদের আর্থিক সহযোগিতায় লেপ প্রস্তুত করার পর যাদের ঘরে শীত নিবারণের লেপ নেই, তাদের খুঁজে বের করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকালে অথবা রাতে এসব লেপ বিতরণ করা হয়। এবারও প্রায় ১০০ জনকে লেপ প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে ৭০ জনের মাঝে লেপ বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিবছরই পাশে থাকবে এই সংগঠন। শুধু শীত বস্ত্র বিতরণ নয়, পাশাপাশি আমরা সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কাজসহ জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজেও অংশগ্রহণ করি।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বগুড়া এক্সপ্রেস আপডেট নিউজ, নলডাঙ্গায় ‘শীতের হাসি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ বিতরণ করছে। এটা একটা ভালো এবং অনুকরণীয় উদ্যোগ। শীতের হাসি সংগঠনের মত সমাজে যারা অর্থশালী ব্যক্তিবর্গ আছেন তাদের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।