নওগাঁয় ফিল্মিস্টাইলে নিজের শ্বশুড় বাড়িতে হামলা-লুটপাট থানায় অভিযোগ দায়ের

138

মোঃআতিকুর হাসান সজীব (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁয় কতিপয় দুর্বৃত্তদের নিয়ে নিজের শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার পাহাড়াপুর গ্রামে। এই ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে পাহাড়পুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে সুমন হোসেনের স্ত্রী রুনা খাতুন (২০) তার শ্বশুড়বাড়িতে রাখা জিনিসপত্র নিতে বেলাল হোসেনের বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে রুনা জোড়পূর্বক ঘরে রাখা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিতে গেলে শ্বশুড় বেলাল তার ছেলের সঙ্গে কথা বলে জিনিপত্র না দিতে চাইলে রুনা ও তার সঙ্গের লোকজন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেলালের স্ত্রী খুশি বেগমের চুল ধরে মাটিতে ফেলে কিলঘুশি মারতে থাকে। এরপর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ওয়ারড্রপে রাখা ১লাখ ৭৫হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা এলে রুনা সহ অন্যান্য লোকজন প্রাণনাশের হুমকি-ধামকী প্রদান করে চলে যায়। এতে করে বেলাল ওতার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বাদী খুশি বেগমের স্বামী বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন আমার ছেলে সুমন হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে আমাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তাই সুমন মোবাইলের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে দিয়ে আমাদের উপর এমন হামলা করিয়েছে। এছাড়াও সুমনের স্ত্রী ও তার সঙ্গীয় লোকজন প্রতিনিয়তই আমাদেরকে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে। এই ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে। আমি এই রকম নাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। সমুনের স্ত্রী রুনা খাতুন বলেন বাড়ি-ঘর ভাংচুর, টাকা লুটপাট ও মারপিটের বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। আমার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির সঙ্গে তাদের ছেলের কি হয়েছে তা আমি জানি না। বিয়ের পর থেকে তারাই আমার উপর বিভিন্ন রকমের অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে। আমাকে তাদের বাড়িতে রাখবেন না। তাই তাদের কথা মোতাবেক সোমবার বিকেলে আমার জিনিসপত্র নিতে গেলে তারা জিনিসপত্র দিবে না বলে আমাকে গালিগালাজ করার একপর্যায়ে শ্বাশুড়ি ও দেবর আমাকে মারপিট করতে থাকে। আমি তাদের ঘরবাড়িতে কোন প্রকারের ভাংচুর কিংবা টাকা কিছুই নেয়নি। জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য আমি আর একজন ভ্যানওয়ালা গিয়েছিলাম মাত্র।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়াদী হোসেন সাংবাদিকদের বলেন আমি এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।