রাস্তার পার্শ্বের জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দঃ অভিযোগ সোনাতলা থানায়

156

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনাতলা উপজেলা মধুপুর ইউনিয়নে মধুপুর গ্রামে আড়িয়াঘাট বাজার সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বের জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে এক পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মধুপুর মৌজার সাবেক ১৯৩ দাগে ১ একর ৭৮ শতাংশ জমির মধ্যে পাকা রাস্তার পার্শ্বের ৮৮ শতাংশ জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মৃত কিশোরী মহন পালের ছেলে অসিত কুমার, উত্তম কুমার, রতন ও বিমান কুমার পালের সাথে মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলে সঞ্জয় ও সজল পালের কলহ বিবাদ চলে আসছে। এ বেপারে অনেক শালিসি বৈঠক হলেও কোন নিস্পত্তি ঘটেনি। বরং অসিত কুমার গং ওই জমিতে কাজ করার লক্ষে ইট, বালু রাখলে সঞ্জয় বাদী হয়ে কাজ না করার জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সুত্র ধরে এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অসিত গংকে ওই জমিতে সাময়িক কাজ করা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে অসিত কুমার পাল জানান, গত ৭৪ বছর ধরে ওই জমি মৌখিক ভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে পাকা রাস্তার পার্শ্বে ৮৮ শাতংশ জমি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর দুই পরিবার ৪৪ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছি। এতে পাকা রাস্তার পার্শ্বে আমাদের ৪৪ শতাংশ ও তারই পশ্চিম পার্শ্বে ৪৪ শাতংশ জমি সঞ্জয়দের পরিবার ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু ১৯৯৫ সালে মাঠ জরিপে সময় ওই জমি পূর্ব-পশ্চিম বরাবর তথ্য আরএস ম্যাপে লিপিবদ্ধ হয় এবং হালে ১৪৮ ও ১৪৯ দাগে বিভক্ত হয়। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ভোগদখল নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
ওপর দিকে সঞ্জয় কুমার পাল জানান, মাঠ রেকর্ড ও আরএস ম্যাপের নির্দেনা না মেনে অসিত কুমার গং ওই জমিতে ইট বালু ফেললে মৌখিকভাবে কাজ করতে নিষেধ করি। কিন্তু তারা নিষেধ উপেক্ষা করে কাজ করার পায়তারা করে। বাধ্য হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

এ ব্যাপারে থানা এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দুই পরিবারের মাঝে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ওই জমিতে কাজ করা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।