হত্যা মামলায় শিবগঞ্জের বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল গাইবান্ধা কারাগারে

146

শিবগঞ্জ(বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় বিহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার শিমুল হত্যা মামলায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মহিদুল ইসলাম জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মহিদুল তাঁর একসময়ের কর্মী ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামের বাসিন্দা শিমুল মিয়াকে (২৭) অপহরণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে তিনি।  ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জাল হোসেন জানান, গতকাল রবিবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম জামিন চান। বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই হত্যা মামলার বাদী বিহার ইউপি সদস্য ও শিমুলের ভাই রায়হান মিয়া। তিনি বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর বগুড়া আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা শিমুলকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করেন। শিমুলকে হত্যার পর তাঁর বস্তাবন্দী লাশ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আলীপুর ফুলপুকুরিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। পথচারীরা রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী লাশটি দেখতে পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন। রাতেই পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লে¬খ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিহার ইউপির সদস্য রায়হান মিয়া দাবি করেন, গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান মহিদুলের অন্যতম কর্মী ছিলেন শিমুল। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নানা অন্যায়ে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে শিমুল তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।