বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণ

173

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে দুই দিন ব্যাপী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ও শুক্রবার ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং অমর একুশের চেতনা সুপরিচিত করার প্রয়াসে বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটাতে এ আয়োজন। কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাই কমিশন জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলর ইউনিভার্সিটি, মালায়া এবং পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতি মালয়েশিয়া (এমওএটিসি) এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দাতু শ্রী হাজাহ ন্যান্সি শুকরি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন মাতৃভাষার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বৃদ্ধি এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপসহ সকলকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক মনে করিয়ে দেওয়ার এক উপযুক্ত উপলক্ষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ উপলক্ষে এই এ আন্তঃসীমান্ত বহুভাষিক কর্মসূচি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভাষা ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করবে।’

প্রথম দিনের আয়োজনে মন্ত্রীপর্যায়ের বক্তব্য শেষে একটি প্যানেল আলোচনা হয়। আলোচনায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের স্মৃতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলা ও মালয় ভাষায় ‌আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ শিরোনামের একটি গান পরিবেশিত হয়। মালয়েশিয়া টেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ব্যবস্থাপনা অনুষদের এক্সিকিউটিভ ডিন প্রফেসর ডা. নীথিয়াহেন্থান এরি রগভান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী দাতু শ্রী ন্যান্সি শুকরি এক ভিডিও বার্তায় প্রথম দিনের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের অনুবাদক হিসেবে ভাষা সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে বিশ্বব্যাপী উদযাপনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর গুরুত্বকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।