আদালতের আদেশ অমান্য শাজাহানপুরে অবরুদ্ধ বাড়িতে বসবাস করছেন দিনমজুর জাহিদুর

225

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় চোপিনগর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামে দিনমজুর জাহিদুর রহমানের বাড়ির পূর্ব, দক্ষিনে এবং পশ্চিমে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ মোখলেছার রহমান পুট। আর উত্তরে টিনের বাড়ির বারান্দা সহ একটি ঘরের অর্ধেক ভেঙ্গে সেমি পাকা ঘর নির্মান করেছেন প্রতিপক্ষ রানা এবং রাজু দুই ভাই। এমনকি জাহিদুরের বাড়ির ভেতর দিয়েই কাঁচা ড্রেন বানিয়ে টয়লেটের মলমূত্র গড়াচ্ছেন তারা। বগুড়া সারিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালত থেকে বন্টন মামলায় (৩৬২/১৩ অন্য) নিষেধাজ্ঞা চাইলে গত ২৯মে ২০১৯তারিখ আদালত জাহিদুরের পক্ষে আদেশ দেন।

সরেজমিনে দিনমজুর জাহিদুর রহমান জানায়, কিছু কিনে এবং স্ত্রী রশিদা বেগমের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মোট ২১শতক জমি তার সম্বল। এরমধ্যে তার দখলে থাকা ৮শতক জমির উপরে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছিলেন। অন্যজমি গুলো তার দখলে না থাকায় আদালতে বন্টন মামলা করেন। প্রতিপক্ষরা তার বসত বাড়ি দখল করতে চেস্টা করলে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। গত ২৯মে ২০১৯তারিখ আদালত জাহিদুরের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তার ঘরের অর্ধেক ভেঙ্গে উত্তরে সেমিপাকা বাড়ি নির্মান করেন এবং তার বাড়ির পশ্চিম, দক্ষিন এবং পূর্ব দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করেন। বাড়ির ভেতর দিয়েই কাঁচা ড্রেন বানিয়ে টয়লেটের মলমূত্র গড়াতে শুরু করেন। এই ঘটনা গুলোর সময় জাহিদুর তাদের থামাতে শাজাহানপুর থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও সুফল পাননি। পরবর্তিতে তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করার অপরাধে আদালতে আরেকটি মামলা করেন। বিচার পেতে এখনো অনেক দেরি। ততদিনে তার বসবাস করা অকুলান বলে আক্ষেপ করেন জাহিদুর রহমান।
স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, আদালতের আদেশ দিয়ে কি হবে যদি তা কেউ না মানে। জাহিদুর পরিবার সহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ ব্যপারে প্রতিপক্ষ মোখলেছার রহমান পুটু, রাজু এবং রানা বাড়িতে না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নাই। তবে মোখলেছার রহমান পুটুর ছেলে আলমগীর হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, জাহিদুর আদালতের যে রায় পেয়েছে তা ভূয়া। জাহিদুরের কোন জমি নাই। তারা নিজেদের বাঁশের ঝাড়ে নিজেরা বেড়া দিয়েছেন। এতে কে অবরুদ্ধ হলো কে হাঁটতে পারলোনা তা দেখার সময় নাই।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমরান হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, জাহিদুর আদালত থেকে কোন আদেশ পেয়েছেন তা তার জানা নেই। তবে এর আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধ সমাধানে সবাইকে নিয়ে বসেছিলেন। জাহিদুর সেই সময় দেয়া সিদ্ধান্ত মানে নাই। বর্তমানে তার(জাহিদুরের) বাড়ির সবদিকে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে সেটাও তার জানা নেই।