অনলাইন ডেস্ক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বসুরহাটে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
হতাহতের ঘটনায় থমথমে পুরো এলাকা। গতকাল বিকেল ও রাতে দুই দফা সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আর বিকেলে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও তার সমর্থকরা।
সমাবেশ চলাকালে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় দোকানপাট ও কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
পরে পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য এবং দুই পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হন।
পরে রাত ১০টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় আলাউদ্দিন নামে একজন নিহত হন। ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এরআগে ফেব্রুয়ারিতে এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোজাক্কির নামে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।