বগুড়ার ধুনটে বিয়ের লোভ দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষনঃগ্রেফতার ১

295

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় আমিনুর ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার সকালে তার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলী গ্রামের মৃত. আয়নাল হকের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২মাস পূর্বে শেরপুর উপজেলার ভাবনীপুর ইউনিয়নের আশগ্রাম আমিনপুর গ্রামের জৈনক এক কৃষকের যুবতী (১৯) এর সাথে ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলী গ্রামের মৃত. আয়নাল হকের ছেলে আমিনুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। তারপর থেকে ধর্ষক আমিনুর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ের তোলে। এরই এক পর্যায়ে গত ৮মার্চ ধর্ষক আমিনুর ওই যুবতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে আসতে বলে। এরপর তাকে একটি মোইবাইল ফোন ও সিম কার্ড কিনে দিয়ে ধর্ষক আমিনুর। এরপর শুরু হয় তাদের গভীর সম্পর্ক। গত ১২ মার্চ আবার ও তাকে চান্দাইকোনা বাজারে আসতে বলে ধর্ষক আমিনুর। সেখানে যুবতী মেয়ে পৌছিলে তাকে নানা প্রসাধনী কিনে দেয় এবং বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ভ্যান যোগে ধর্ষক তার খাদুলী গ্রামে রওনা দেয়। পরে ধর্ষক প্রতিবেশী জয়নালের বাড়িতে গিয়ে রাত্রি যাপন করে এবং একাধিক বার জোড় পূর্বক ধর্ষন করে।

ধর্ষিতা যুবতী জানান, আমিনুর আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার প্রতিবেশি মামা জয়নালের বাড়িতে আমার নিয়ে রাত যাপন করেছে এবং আমাকে জোড়পূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। পরে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা রকম তালবাহনা করে এবং আমাকে সে ১৩ তারিখে দুপুর ১২টার দিকে পুনরায় চান্দাইকোনা বাজারে রেখে আসে। আমি এর বিচার চেয়ে ধুনট থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে আমিনুরকে নিজ এলাকা থেকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষীতা যুবতীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।