দুপচাঁচিয়ায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিঃঅধিকাংশ জনগন সচেতন নয়

182

দুপচাঁচিয়া থেকে উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী শিশির ঃ
দুপচাঁচিয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়েই চলছে, সারা বিশ্বে দ্বিতীয় বার মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় এই পৃথিবী থেকে কিছু সংখ্যক জ্ঞ্যানি ও গুনীজনদেরকে বিদায় নিতে হচ্ছে। সময় মত আমাদেরকে আরো সামাজিক দূরত্ব বজায়,মাস্ক ও পরিস্কার পরিছন্নতা পর্যায়ক্রমে দিন দিন অক্ষুন্ন রাখতে হবে। কারন যাদের হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট,মৃদু-জ্বর, ডায়বেটিস ও সর্দ্দিকাশ রয়েছে, তাদের জন্য একেবারে করোনা ভাইরাস বিপদজনক। তাদেরকে অবশ্যই ১৪দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত বাড়ীর ১টি কক্ষে বিশ্রাম বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকিলে এই রোগ হইতে সম্পূর্নরূপে ভাল হওয়া যায় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে বিভিন্নভাবে প্রতিটি গ্রাম- শহর এলাকায় প্রচার করছে। কিন্তু আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই অধিকাংশ সচেতন নাগরিকরা শহরে ঘুরে বেড়ায় বা চলাচল করে। কিন্তু তাদের কারো মুখে মাস্ক নেই বা অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে না।বিশেষ করে উপজেলা বা শহরের কিছু খাবার হোটেলে গিয়ে দেখা যায় একই গøাসে বিভিন্ন মানুষ পানি খাচ্ছে।আবার মুখে কারো মাস্ক ও হোটেলে বসার দূরত্ব একেবারে নেই বলে দেখা যায়।যার কারণেও এই ভয়াবহ করোনা রোগ দ্রæত ছড়িয়ে পরছে। কিন্তু শহরের মানুষই সচেতন না হলে তারা গ্রামের মানুষদেরকে কি ভাবে করোনা রোগ সর্ম্পকে বুঝাবেন। এই রোগ যাতে গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কিছু ধর্মীয় উপাসনালয় ও মসজিদ থেকে সাধারণ মানুষদেরকে করোনা রোগ সম্পর্কে সচেতন করবেন ও নিজেরা মাস্ক ব্যবহার করবেন।বিশেষ করে গ্রামের মানুষদেরকে মাস্ক পড়ায় উৎসাহিত ও স্যানিটাইজার এবং কাপড় কাঁচা বল সাবান দিয়েও দু-হাত ২/৩ মিঃ ধুয়ে ফেললে মহামারী করোনা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ দিতে হবে।কিন্তু মানুষ আদৌ সেই উপদেশগুলো মানছেন না।এখন জানার অনেক মাধ্যম হয়েছে,যেমন তথ্য মন্ত্রালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হইতে প্রতিদিন টি.ভি,খবরের,প্রিন্ট-মিডিয়া,মোবাইলে ফেজবুকের মাধ্যমে প্রতিদিনে ভয়াল করোনা ভাইরাস রোগ সম্পর্কের্ বিস্তারিত আলোচনা করছে।সেটা শুনে অনেক নাগরিক সচেতন হন না । তাহার কিছু নমুনা উপরের ছবিতে দেখুন।গত মার্চ মাস থেকে দ্বিতীয় বারের মত ভয়াবহ করোনা ভাইরাস শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে মাইকিং এর মাধ্যমে এবং পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন এলাকায় বিট পুলিশিং প্রোগ্রাম করে জনগনের মাঝে মাস্ক বিতরন করেন ও জনসচেতনতার উপর বিষদভাবে আলোচনা করেন ,এরপরও জনগনের মাঝে করোনা ভাইরাস রোগ সম্পর্কে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই বলে দেখা যায়।