বগুড়ায় নারী চিকিৎসক এর মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি দেওয়ায় যুবক গ্রেপ্তার

188

মোঃ জাকির হোসেন: শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি।

বগুড়ার শেরপুরে নারী চিকিৎসক এর মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি দেওয়ার অভিযোগে রাশেদ আহম্মেদ (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (১০এপ্রিল) দুপুরের পর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। এর আগে শুক্রবার (০৯এপ্রিল) দিনগত রাতে শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোডস্থ মর্ডান ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসক ডা. রাফসানা জাহান রিম্মি বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌরশহরের হাসপাতল রোড এলাকায় মডার্ণ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিকের মালিক রফিকুল ইসলামের মেয়ে ডা: রাফসানা জাহান রিম্মি Jahan Rimmi (https:/www.facebook.com/profile.php?id=100008480894029) নামের একটি ফেইসবুক আইডি পরিচালনা করে। ওই ফেইসবুক আউডিতে Kaniz Fatema (Link: https:/www.facebook.com/drkaniz.fatema.79) নামক একটি আইডি থেকে গত ৭ মার্চ একটি ম্যাসেজ আসে। তার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে নারী ডাক্তার রিম্মিকে উক্ত আইডি থেকে কারণে অকারণে সময়ে অসময়ে বিভিন্ন খারাপ ও কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ ও নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয়। পরে ডা: রাফজানা জাহান রিম্মির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর ০১৫৮০৬৩২৩২৩ থেকে কল আসে। কলটি রিসিভ করলে রাশেদ তার পরিচয় দেয়। গত ৩১ মার্চ এ বিষয়ে শেরপুর থানায় একিটি জিডি করা হয় এবং তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করা হয়। তারপরও সে বিভিন্ন সময় মোবাইল ও ম্যাসেঞ্জারে বিরক্ত করতে থাকে।
পরে ডা: রাফসানা জাহান রিম্মি তার পরিচিত ঘনিষ্ঠ বোন শাজাহানপুর থানার বেতগাড়ী বাইপাস এলাকার তারেক হাসানের স্ত্রী মোছা. টুকটুক হাসান শেখের মাধ্যমে Kaniz Fatema আইডি পরিচালনাকারী ব্যক্তি মো. রাশেদ আহম্মেদ কে সনাক্ত করে। রাশেদ আহম্মেদ শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আবু হানিফের ছেলে। ডাক্তার রাফসানা জাহান রিমিকে বিরক্ত করতে নিষেধ করায় রাশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি প্রদর্শন করে।
এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে একাধিকবার তাকে নিষেধ করা হলেও নিবৃত না হয়ে বরং আরও বেপরোয়া হয়ে উত্যক্তের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি বিগত তিন-চারদিন থেকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন নগ্ন ও অশ্লীল ছবি পাঠানো শুরু করেছে। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাশেদ নামের ওই যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এই যুবককে বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।