জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ শাজাহানপুরে আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছায়নি ২বছরেও

417

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ কি হবে আদালতের সেই কাগুজে আদেশ দিয়ে যদি তা কেউ নাই মানে? প্রতিকার পেতে তাকে আবারো আদালতে যেতে হবে? দীর্ঘ সময় ব্যায় করতে হবে? টাকা খরচ করতে হবে? সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? দীর্ঘ ২বছরের মধ্যেও আদালত থেকে আদেশের কপি থানা বা সংশ্লিস্ট জায়গায় না যাওয়ায় তার ক্ষতির দায় কে নেবে? তিনি তার সন্তানদের কাছে কি জবাব দেবেন? তিনি কি সন্তানদের এটা শেখাবো যে সব নস্টদের দখলে চলে গেছে? প্রিয় সন্তানরা তোমরাও সেদিকেই যাও। গতকাল রোববার বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগে জেলা প্রশাসনকের কাছে প্রশ্নগুলো রেখেছেন একেএম আব্দুল মতিন আকতার মাস্টার। তিনি বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার কামাপারপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মঞ্জু মাস্টারের ছেলে।

আকতার মাস্টার অভিযোগে বলেন, বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি ভাড়া অফিস সংলগ্ন উত্তর পাশে সাজাপুর মৌজার দশমিক ৮শতাংশ জমি রয়েছে। মাঝিড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জুব্বার হোসেন কোন ধরণের মালিকানা না থাকলেও সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তার জমিটি দখল করছেন। উপায়ান্তর না পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা(৬৯৭পি/২০১৭ শাজাহানপুর) দায়ের করেন। উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০১৯সালে আদালত আদেশ প্রদান করেন। সেটি জুব্বারের বিপক্ষে যায় এবং আকতারের পক্ষে আসে। আদেশটি সংশ্লিষ্ঠ সকলকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
জুব্বার হোসেন গত ০৫এপ্রিল ভোর থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে সেমিপাকা ঘর নির্মান শুরু করেন। প্রতিকার পেতে তিনি শাজাহানপুর থানায় গিয়ে জানতে পারেন মামলার আদেশের কপিটি থানায় আসেই নি। করোনা মহামারির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় তিনি দিশেহারা হন। পরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কাছে সাহায্য চান এবং তার আন্তরিক সহযোগীতায় তিনি সেদিনের মত রক্ষা পান। ইতিমধ্যে জুব্বার হোসেন ইট দিয়ে অনেক খানি গাঁথুনি দিয়ে ফেলেছেন। এখন যে কোন সময় সেখানে ছাউনি দিয়ে তা ভোগ দখল শুরু করবে। থানা থেকে নিষেধ করে দেয়া পরেও গতকাল রোববার জুব্বার ওই জমিতে আবারো কাজ করছেন জুব্বার।
জুব্বার হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ওই জমির মালিক তিনি নন। শাজাহানপুর থানায় চাকরিরত অবস্থায় এসআই আতিক তার স্ত্রী লায়লা আতিকের নামে দশমিক ৪শতক জমি কিনেছিলেন। তিনি এখন ওসি দায়িত্ব পালন করছেন। সেই জমির তিনি ভাড়াটিয়া তাই কাজ করছেন। এসআই আতিক মোবাইল ফোনে জানান, তার স্ত্রীর নামে দশমিক ৪শতাংশ জমি কিনেছিলেন। এখন সেটি জুব্বারকে দেখাশোন দায়িত্ব দিয়েছেন।
এ ব্যপারে বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।