বগুড়ার শেরপুরে যুবতীকে গণধর্ষনের ঘটনায় আটক ৩

246

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরের বাসা-বাড়িতে কাজ দেয়ার কথা বলে এক যুবতীকে গনধর্ষণ করে বলে জানা গেছে।
জানা যায় গ্রাম থেকে কাজের খোঁজ নিতে আসা ফাতেমা বেগম ফতু নামের এক যুবতীকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ধর্ষকরা বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে গণধর্ষন করায় এলাকাবাসী যুবতীসহ মামুন প্রামানিক (৩৫), সোহাগ সরকার (২২), আব্দুল খালেক (৫০) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছে। এ ঘটনায় ওই যুবতী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজলার গাসাইবাড়ি চিতুলীয়া গ্রামের আবিন সরকারের মেয়ে ফাতিমা খাতুন ওরফে ফতু গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাসা বাড়িতে কাজের খোঁজে শেরপুরে আসে। কাজের সন্ধান শেষ হয়ে গেলে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ধুনটমোড় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে সিএনজির জন্য অপক্ষা করছিল। এসময় শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামানিক, আবুল শেখের ছেলে আব্দুল খালেক ও শেরপুর শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকার সাইফুল সরকারের ছেলে সোহাগ সরকারের পরিচয় হয়। পরে ফতুকে একজনের বাড়িতে কাজ দেয়ার কথা বলে কৌশলে বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুস সাত্তারের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪ জন মিলে ধর্ষণ করে। ফতূর চিৎকারে আশে পাশের লাকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চষ্টা করে। স্থানীয় লাকজন ধাওয়া করে উল্লখিত ৩ জনকে আটক করে এবং দুলু শেখ নামের এক ধর্ষণকারী পালিয় যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা ফাতিমা খাতুন ওরফে ফতু ওইদিন রাতেই বাদি হয়ে শেরপুরে থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।