গুলশানে‌ ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার, বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা

211

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান তানভীর এর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ভোর রাত ৩টার দিকে মামলার বিষয়টি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিশ্চিত করেন।মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেছেন।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, রাতে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৭। মামলার আসামি করা হয়েছে দেশের একটি শীর্ষ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান তানভীর এর বিরুদ্ধে।

কুমিল্লার কোতয়ালীর থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমানের ছোটো মেয়ে মোশারাত জাহান মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করতেন। রাজধানীর গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাসা ভাড়া এক লাখ টাকা। দুই লাখ টাকা আগাম দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মেয়েটি একাই বাসায় থাকতেন। তবে একজন শিল্পপতি প্রায়ই যাতায়াত করতেন

নুসরাত জাহান বলেন, আমি নিজে বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছি। মামলাটি হয়েছে একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির ছেলের বিরুদ্ধে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর ১২০ নম্বর সড়কে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মুনিয়ার বড় বোন দরজা বন্ধ পান। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। এর কিছুক্ষণ আগে থেকে তার ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর ফ্ল্যাট মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে।

নুসরাত জাহানের বরাত দিয়ে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, মুনিয়ার সঙ্গে একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মুনিয়া সেখানে একাই থাকতেন।

মরদেহ উদ্ধারের পর গুলশান থানার পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মুনিয়ার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে।