আদমদীঘিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ′গোস্ত সমিতি′

142

মোঃশিমুল হাসান,, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘গোস্ত সমিতি। উপজেলা সদরসহ পৌরসভা ও বিভিন্ন গ্রামে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ ‘গোস্ত সমিতি’ গড়ে উঠেছে। সারা বছর অল্প অল্প সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় এ ধরনের ‘গোস্ত সমিতি’গঠন করা হয়।বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে ‘গোস্ত সমিতি’সমিতির সার্বিক তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগ থেকে দু-এক জায়গায় এ ধরনের সমিতি চালু হয়। পরে প্রতি বছরই সমিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ বছর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমিতির সংখ্যা দুই থেকে তিন সহস্রাধিক হবে বলে বিভিন্ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধরনের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৩০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত হয়ে থাকেন। তারা প্রত্যেকে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে নির্ধারিত হারে চাঁদা বা সঞ্চয় জমা দেন। পরে জমা করা টাকায় ঈদের সপ্তাহ খানেক থেকে শুরু করেন গরু, ছাগল-খাসি ও বেড়া কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেয়। এসব পশুর চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে প্রাথমিক তহবিল করে শুরু হয় পরের বছরের জন্য সমিতির কার্যক্রম। শুরুতে শুধু নিম্নবিত্তের লোকেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও সমিতি করছেন।

উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার পাথরকুটা গ্রামের গোস্ত সমিতির সদস্য এমরান আলী হিরা জানান, তাদের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ২২ জন। প্রত্যেকে সপ্তাহে ১০০শত টাকা করে জমা দিতেন।ঔ সমিতির পক্ষ থেকে এবার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ষাঁড় গরু কিনে জবাই করে প্রত্যেকেই গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান, এ এলাকায় আরও অন্তত ৩০/৩৫টি এরকম সমিতি রয়েছে।

ঈদের আগে থেকেই অনেক এলাকার সমিতির সদস্যরা গরু, খাসি কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার মিজান জানান, সমিতি করলে নিজেরা গরু কিনে এনে ভালো গোস্ত পাওয়া যায়। তাছাড়া খরচের চাপটাও অনেক কমে।

বিভিন্ন গ্রামের গোস্ত সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ঈদে গোস্ত কিনতে অনেক টাকা লেগে যায়। তাদের মতো কম আয়ের লোকের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। তাই তারা কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামে গোস্ত সমিতি গঠন করেছেন। এতে সপ্তাহে ১০০/১৫০ ও মাসে ২০০/২৫০ টাকা করে জমা করেন। এতে তারা প্রতি ঈদে আট-দশ কেজি করে গোস্ত পাচ্ছেন।