সোনাতলায় বাবার সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় স্কুল শিক্ষিকার চুল কেটে দিলো ভাই ভাবী

402

মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার সোনাতলায় বাবার সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় স্কুল শিক্ষিকার মাথার চুল কেটে দিয়েছেন আপন বড় ভাই স্কুলশিক্ষক গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী। ভাই-ভাবির অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৯৯৯- এ ফোন করে নিজেকে রক্ষা করেন ওই শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের আটকড়িয়া গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা।

নির্যাতিত শিক্ষক জানান, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ২০১৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বড় ভাই গোলাম রব্বানী ও ছোট ভাই গোলাম রাসুল বাবার সম্পত্তি ভোগ করতে থাকে। বাবা বেঁচে থাকাকালীন বড় ভাই বাড়ির বাইরে থাকতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি বাড়িতে এসে উঠেন। তারপর থেকে শুরু হয় নির্যাতন। দুই ভাই মৌখিকভাবে ১১ শতকের ওপর বাড়ির অংশ ভাগ করে নেয়।

ওই শিক্ষক বাবার বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করায় তাকে নানাভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুই ভাই। কয়েকদিন আগে তার এক ভাই তার বাথরুম বন্ধ করে দেয়। পরে তিনি তার প্রয়োজনীয় কাজ পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির টিউবওয়েলে বাসনপত্র পরিস্কার করার সময় গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী পপি বেগম তাকে নানাভাবে গালিগালাজ শুরু করেন।

এ সময় তিনি তার ভাইয়ের কাছে বাবার সম্পত্তির ভাগ চান। জায়গা দিলে তিনি অন্যত্র চলে যাবেন। এ কথা বলায় ভাই-ভাবি মিলে তাকে মারপিট করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন। ঘটনার পর তিনি থানা পুলিশের সহায়তা নিতে চাইলে ভাই বাড়ির মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং নানা রকম হুমকি দেয়। এ সময় তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। এরপর সকাল ১০টার দিকে সোনাতলা থানার এসআই আব্দুর রহিম ও পুলিশ সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুপুরে ভুক্তভোগী জানান, তাকে বিভিন্নভাবে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ না দিতে চাপ দিচ্ছেন। তবে তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন।