শাজাহানপুরে পানিতে ভাসা আবাসন ঘর পরিদর্শন করেন ডিসি

249

দুলাল হোসেন, শাজাহানপুর বগুড়াঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নিচু জমিতে তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । বর্তমান জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করার মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে আশ্রয়ন প্রকল্পটি।
আজ শুক্রবার সকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি আশিক খান ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
পুর্বের ইউএনও মাহমুদা পারভীন প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের সুনাম নষ্ট করে স্থানীয়দের মতামত উপেক্ষা করে নিচু জমিতে ঘর নির্মাণ করেন। ঘর নির্মাণের অদুরদর্শিতা ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেন। তিনি অসহায় মানুষের চিন্তা না করে চিন্তা করেছেন শুধু নিজের দায় মুক্তির।
এসময় জেলা প্রশাসক আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের প্রাথমিকভাবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের ব‍্যবস্থা করেন। পানি নেমে যাওয়ার পর স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় মাটি কেটে রাস্তা ও জায়গাটা উঁচু করার একটি প্রকল্পে কাজ চলমানের কথাও জানান।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি জানার পর পরই গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ভুক্ত ভোগীদের পাশে দাঁড়ান। জলাবদ্ধতা নিরসনে উপস্থিত থেকে প্রকল্পের পাশে ডাংগুড়ি খালে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ৪ টি বাঁশের তৈরি বাঁধ অপসারণ করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নে পলিপাড়ায় পাশে খাসজমিতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে মুজিব বর্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পযার্য়ে ১৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহীন ৯টি পরিবারের জন্য দুই ঘরবিশিষ্ট এসব নিম্নমানের নিচু জমিতে ঘর তৈরি করেছিলেন তৎকালিন ইউএনও।