শাজাহানপুর থানায় গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ দিলেন গ্রামবাসি

413

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট বামুনদীঘি পাড়া গ্রামের মানিক মিয়া(৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসি। মাদক চুরি জুয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে অভিযোগ দিতে গ্রামের যুবক বৃদ্ধ সহ অন্তত ২০জন লোক আসেন। অভিযোগ পত্রে ওই গ্রামের শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকুরি জীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৬৫জন নারী পুরুষ স্বাক্ষর করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বগুড়া পুলিশ সুপার এবং বগুড়া জেলা প্রশাসক এর কাছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ফুলকোট বামুনধীঘি পাড়া গ্রামের মৃত মনছের আলী আকন্দ এর ছেলে মানিক। এক সময় সেনাবাহিনীতে চাকুরি করতেন। মাদক সংক্রান্ত কারণে তার সেই চাকুরি চলে যায়। গ্রামে এসে আপন ভাগিনা বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক ওরফে ফাল্লাসকে নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এলাকায় ইয়াবা এবং গাাঁজার কারবার চালিয়ে আসছে এই বাহিনী। এদের সদস্যরা সম্প্রতি ৩টি দোকানে চুরি করে। প্রায়ই ফসলী মাঠ থেকে স্যালো মেশিন চুরি করছে। এবং বিভিন্ন বাড়ি থেকে টিউবওয়েল চুরি করছে। এর আগে এই এই গ্রামে চুরি ছিলোনা। মাদক ছিলোনা বললেই চলে। এই এলাকায় কোথাও মাদক বিক্রি হতোনা।
এই গ্রামে কোনদিন জুয়া চলেনি। সম্প্রতি এই গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মোখলেস এর বাড়িতে ডাবু জুয়া চালায় মানিক এবং তার সহযোগীরা। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করেন। দূর্ভাগ্য বশত মানিক এবং তার সহযোগীরা সেদিন পালিয়ে যেতে স্বক্ষম হন। এর আগেও গ্রামের শেষে বিল কেশপাথার গ্রামে ডাবু বসানোর চেস্টা করে মানিক। বর্তমানে মানিক এবং তার ভাগিনা খাল্লাস এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। এই কাজে মানিকের বাড়ির নারী সদস্যরাও জড়িয়ে পড়েছেন।
এর আগে মানিক এবং খাল্লাস একাধিক বার মাদক সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধিন রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানিক মোবাইল ফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি মাদক জুয়া চুরি কোন কিছুর মধ্যেই নাই। আগে সেনাবাহিনীতে চাকুরি করতেন। সেটা চলে যাওয়ার পর তিনি কস্টে জীবন চালাচ্ছেন। চাষ করার মত তার এক শতক জমিও নাই। কিস্তির উপরে টাকা নিয়ে তিনি বসে সবসে খাচ্ছেন। তার ছোট একটা সংসার আছে। সংসার খরচ এবং কিস্তির টাকা কী ভাবে চালাচ্ছেন সে ব্যাপারে কোন উত্তর দিতে পারেন নাই মানিক।
সম্প্রতি কামারপাড়া এলাকায় কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনায় তার ভাগিনা খাল্লাসের ছোট ভাই আব্দুল মোত্তালিব ওরফে কেন্না এর নাম বলছেন কেউ কেউ। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
আমরুল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ফুলকোট গ্রামের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান উজ্জল জানান, ফুলকোট বামুন দীঘি পাড়া গ্রামে জুয়া মাদকের কিছু বিষয় আছে তিনি শুনেছেন। তবে কারা জড়িত তা তিনি জানেন না।
উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা এসআই মিজান জানান, মাদক, জুয়া এবং চুরি হওয়ার ঘটনা তারা দেখছেন। শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক(সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।