অপপ্রচারের প্রতিবাদে বগুড়ায় চিকাশি ইউপি চেয়ারম্যান শিপনের সাংবাদিক সম্মেলন

419

আবু সাঈদ হেলাল স্টাফ রিপোর্টার

মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বগুড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ধুনটের চিকাশী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন। সোমবার বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, স্বার্থানেষী মহল তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কতিপয় ইউপি সদস্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ইউনিয়নবাসীসহ সচেতন মহলকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ সরকারের প্রচেস্টা সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জনগন আমাকে নির্বাচিত করেছেন। সর্বদা এলাকার মানুষের সুখে দুখে পাশে রয়েছি। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে কাজ করছি। এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা বিগত সময়ে চেয়ে আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বার্থন্বেষী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা সহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করার অপচেস্টায় লিপ্ত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার চক্রান্তের শিকার আমি। সেই চক্রান্তে আমার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন ঐ ব্যক্তি। কিছু ইউপি মেম্বার আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কয়েকজন ইউপি সদস্য মিলে অন্যদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
গত ২৯ জুন ও ১০ জুলাই কতিপয় ইউপি সদস্য সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে, যা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। টি.আর, কাবিখা, এলজিএসপি, এডিপি, ভিজিডি, বয়স্ক, বিধবা ভাতা ও কৃষিকার্ড সহ বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ অনেক প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করে সরকারী টাকা আত্মাসাত করার যে অভিযোগ তারা করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশ। যে সকল প্রকল্পের টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ তারা করেছেন সেসব অধিকাংশ প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনকারী ইউপি সদস্যরা। যে কোন প্রকল্প সরকারী কর্মকর্তাগন একাধিকবার পরিদর্শন করে তা অনুমোদন করেন। সেসব কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি বলেই প্রকল্প সভাপতি বিল উত্তোলন করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মকান্ডে অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি, সকল কাজের সচিত্র প্রতিবেদন পরিষদে সংরক্ষন করা রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের সত্যতা মিলবে।
প্রকল্প সভাপতির নিকট থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন কোন প্রকল্পে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ সঠিক নয়। আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সকল কাজ করা হয়েছে তা সিডিউল মোতাবেক করা হয়েছে। কাজগুলির প্রমাণ এলাকায় বিদ্যমান। ইতিপূর্বে গত ২৩/০১/২০১৮ইং তারিখে অভিযোগ এনেছিল কতিপয় মেম্বার, পরবর্তীতে সেসব অভিযোগ সত্য নয় মর্মে মেম্বাররা লিখিতভাবে এফিডেভিট এর মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, নৌকা নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মানুষের কল্যানে কাজ করছি, করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে রয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে কাজ করছি। এই ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ ইউপি সদস্য জামায়াত-বিএনপি জোট সমর্থিত। তারা কোনভাবেই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সফল হোক তা কখনই চায় না। তারা উন্নয়ন ব্যাহত করে জনগনের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেস্টায় লিপ্ত। একটি ওয়ার্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে ব্রীজ নির্মানের প্রকল্প নেয়া হয়েছে, প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও ঐ ব্রীজ নির্মান হয়নি শুধু রোকনুজ্জামান বিপ্লব নামের মেম্বারের অসহযোগিতার কারনে। তারা নিজেরা যেমন উন্নয়ন কাজ করতে চায় না, আবার আমাকেও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে বাধাগ্রস্থ করছে বিভিন্ন কৌশলে। তিনি তার বিরুদ্ধে সকল ধরনের মিথ্যাচার, অপপ্রচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।