শিবগঞ্জে অপহরণের ৮ দিন পর তাঁত শ্রমিক রুবেলকে উদ্ধার

239

শাহজাহান আলী স্টাফ রিপোর্টার

কুড়িগ্রাম জেলার তাঁত কারখানার শ্রমিক রুবেল আহমেদকে অপহরণে ৮ দিন পর উদ্ধার করেছ বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
৩১ আগস্ট (মঙ্গলবার) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্হান এলাকা থেকে অপহৃত রুবেলকে উদ্ধার করা হয়।
শিবগঞ্জ থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়,কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কাশিরভিটা গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রুবেল আহমেদ (২৭) গত ২২ আগস্ট তার কর্মস্হল সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তাঁত কারখানায় যোগদান করার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্র ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন নামের এক যুবক কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী এলাকায় বিবাহ করেছেন। সেই সূত্রধরে আলমগীর হোসেন তাঁর পরিচিত রুবেল আহমেদকে মোবাইল ফোনে বাস থেকে মহাস্হানে নামতে বলে। রুবেল ওই যুবকের কথা মত তার সঙ্গে দেখা করার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্হান বাস স্ট্যান্ডে নামে।
আলমগীরের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার পর ওই যুবক তাকে মহাস্থান মাজার এলাকাসহ মহাস্থানের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘিরে দেখান। এর একপর্যায়ে আলমগীর নামে ওই যুবক কৌশলে রুবেলকে সিএনজি যোগে মাঝিহট্র ইউনিয়নের অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেসময় অপহরণকারীরা তাকে মারপিট করে ৫লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবি করেন। রুবেল টাকা দিতে না পারায় অপহরণকারীরা তাকে ওই এলাকার মদীর পারে একটি জঙ্গলে হাত পা বেঁধে রেখে দেয়।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে গত কয়েক দিন যাবৎ দফায় দফায় উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়।অপহরণকারী চক্রটি পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে রুবেলকে রেখে পালিয়ে যায়।
৩১ আগস্ট মঙ্গলবার রুবেলকে উপজেলার মহাস্হান এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁত শ্রমিক রুবেল থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুল ইসলামকে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন,তিনি বলেন,আমি না খেয়ে কয়েক দিন যাবৎ কাটিয়েছি। অপহরণকারীরা আমাকে মারপিট করেছে এবং আমার পরিবারের নিকট থেকে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদেরকে দিয়েছি। আল্লাহ আমাকে বেঁচে রেখেছে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, এঘটনায় থানায় অপহরণের একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। তাঁতা শ্রমিক রুবেলকে জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।