সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদার উধাও! দুর্ভোগ চলছে ৬ মাস

213

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে সড়ক নির্মাণের জন্য খুঁড়ে রেখে পালিয়েছে ঠিকাদার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো পরিবার। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের যান চলাচল।

বিশেষ করে কৃষি নির্ভর এই এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এমনকি ন্যায্য দামও পাচ্ছেন না। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুল কানেক্টিং রোড নির্মাণ প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই প্যাকেজে রয়েছে দুইটি দুই সড়ক নির্মাণ কাজ। এরমধ্যে একটি হলো উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সগুনিয়া গ্রামে ৫০০ মিটার সড়ক পাকাকরণ। এটি প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাজ। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে চলতি বছরের শুরুতেই বগুড়ার ‘মা তাসিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এই প্যাকেজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। বিগত ছয়মাস আগে সগুনিয়া গ্রামের ওই সড়কটি পাকাকরণ জন্য কাজ শুরু করেন তারা। প্রাথমিক খনন কাজ (বক্স কার্টিং) সম্পন্ন করেন। কিন্তু এখানেই শেষ। এরপর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আর কোনো কার্যক্রম নেই।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও তাঁদের লোকজন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার লিখিত আদেশ ও নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে সূত্রটি জানায়।

মা তাসিন ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মো. রাসেল আহমেদ জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে প্যাকেজের কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণেও কাজ ব্যহত হয়েছে। তবে কাজটি ইতিমধ্যে অন্য আরেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছেন তিনি। ওই ঠিকাদার দ্রুতই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবু তালিম হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কাজটি যাকে দেওয়া হয়েছিল, তারা করেননি। তাই খুঁড়ে রাখা সড়কটি বেশকিছুদিন ধরে পড়ে রয়েছে। অচিরেই গ্রামের লোকজনের এই দুর্ভোগ কেটে যাবে। সাব-ঠিকাদার হিসেবে একজন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনিই এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাকাকরণ কাজটি দ্রুতই সম্পন্ন করবেন।