শাজাহানপুরে আত্বিয়করণের দৃস্টান্ত জয়ন্তিবাড়ী মাদ্রাসা

197

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ আত্বিয়করণের দৃস্টান্ত হয়ে উঠেছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের জয়ন্তিবাড়ী দারুলহুদা বালিকা দাখেলী মাদ্রাসা। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক কর্মচারি সহ প্রায় সবাই তার নিকট আত্বিয়। সত্যতা স্বীকার করেছেন সভাপতি এবং অন্যরা। এতে বিভিন্ন অনিয়ম এবং মাদ্রাসা উন্নয়ন বিঘœ হচ্ছে হচ্ছে বলে মাদ্রাসার শিক্ষক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীরা দাবি করেছেন।

সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানাযায়, ১২বছরের বেশি সময় ধরে ওই মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন আব্দুল হান্নান। কমিটর দাতা সদস্য সভাপতি আব্দুল হান্নানের শ্বশুর আব্দুস সাত্তার প্রামানিক, সভাপতির বিয়াই অভিভাবক সদস্য আব্দুর খাবির, অভিভাবক সদস্য মাসুদ রানা সভাপতির ভাগিনা, শিক্ষক প্রতিনিধি সভাপতির আরেক বিয়াই শাহিনুর ইসলাম।
আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সহকারি সুপার মোস্তাফিজার রহমান আমার মামা। সহকারি শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম আমার বিয়াই। সহকারি শিক্ষক আসাদুজ্জামান বজলু আমার শ্যালক। মঞ্জুয়ারা বেগম আমার বিয়ান(ভাবির নোনদ)। মাদ্রাসার আয়া ফরিদা খাতুন আমার ভাবি। দপ্তরি মনিরুজ্জামান মানিক আমার ভাতিজা। নৈশপ্রহরী মমিনুর রহমান আমার চাচাতো ভাই। এমএলএসএস রোখসানা আমার ভাগ্নি(সম্মন্ধির মেয়ে)। স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি আমার সাথে শত্রæতা করছেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম বলেন, সভাপতি আব্দুল হান্নান পুরো মাদ্রাসা গ্রাস করতে চলেছে। অনেক গুলো নিয়োহ হয়েছে। তার টাকা সভাপতি লুটপাট করে খেয়েছে। মাদ্রাসার কোন উন্নয়ন হয়নাই। মাদ্রাসার পরাতন গাছ গুলোও বিক্রি করে ফেলেছে সভাপতি ও মাদ্রাসা সুপার। সরকারি বরাদ্ধের কোন হদিস নেই। এখানে অনিয়মের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এ ব্যপারে মাদ্রাসা সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম ব্যাস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে চান নাই।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, আব্দুল হান্নান টাকার বিনিময়ে আত্বীয়দের মাদ্রাসার চাকুরি দিয়েছে। এতে প্রকৃত মেধাবীরা দাঁড়াতে পারছেনা। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক এবং স্টাফদের মধ্যে সভাপতির আত্বিয়করণে দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের কোথাও এমন আছে বলে কেউ শোনে নাই।