গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২’শ নেতাকর্মীর নামে মামলা

101

মুহাম্মাদ আবু মুসা
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন এর উপর ককটেল হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাবতলী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান পাইকার বাদী হয়ে গতকাল শনিবার (২৬নভেম্বর/২২) থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটনকে প্রধান করে ৩৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০জনের নামে বিস্ফোরক ও হত্যার উদ্দ্যেশে মারপিট মামলাটি দায়ের করা হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন কুমার সরকার বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ রয়েছে, ২৫নভেম্ব/২২ উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের অর্ন্তগত বাহাদুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী জালসায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি (রবিন) তাঁর দলীয় ১৫/২০ নেতা-কর্মীকে নিয়ে সেখান থেকে ফেরার পথে গাবতলী-সুখানপুকুর সড়কে নাড়ুয়ামালা ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পৌছিঁলে দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, ককটেল ও অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পথরোথ করে হত্যার উদ্দ্যেশে আক্রমণ করে। এ সময় ককটেল নিক্ষেপ করলে সোহাগ ইসলাম (২৭), রাকিব হাসান প্রেম (২২) ও তৌহিদুল ইসলাম (২৪)সহ কয়েকজন আহত হয়। আহতদেরকে গাবতলী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ককটেল হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু, সাধারণ সম্পাদক এআই ফয়সাল খান জনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি কায়দুজ্জোহা টিপু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রানী মূলকভাবে মামলা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের যে কাজ, মিথ্যাচার করা, মানুষকে হয়রানী করা, সারাদেশের ন্যায় গাবতলীতেও তাই হয়েছে। তাঁরা অবিলম্ভে সাজানো ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। মোরশেদ মিলটন ছাড়াও আরো যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা হলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টুকু, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি কায়দুজ্জোহা টিপু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর হারুন আর রশিদ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুহুল হাসান রুহিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমআর হাসান পলাশ, সহ-সভাপতি তৌমিরুল ইসলাম তৌকির, সাধারণ সম্পাদক এসএম রাঙ্গা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লুকু, বিএনপি ও অঙ্গদলের আতিকুর রহমান পিন্টু, মিজানুর রহমান হিলু, আঃ হান্নান কাজী, রফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান মতি, জিল্লুর রহমান, লালু মিয়া, আব্দুল আলীম, ওমর আলী, আরিফুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পেস্তা, রনি ফকির, টিটু মিয়া, জালাল, নিপুন, মিন্টু, রকসি, কনক, আনছার, জুয়েল, সুমন, মুছা, রাব্বী, সাফিন।