দুপচাঁচিয়ায় কালী মন্দিরে চুরি যাওয়া মালামাল দুইদিন পর উদ্ধার ও ২ জন গ্রেফতার

73

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া(বগুড়া).
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানাধীন চেংগা পালপাড়া শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে চুরি যাওয়া মালামাল সহ ২ জনকে গ্রেফতার।
এ ব্যাপারে,দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবুল কালাম আজাদ জানান,গত ৩১ মার্চ তারিখ দিবা গত রাত সোয়া এগারোটার দিকে মন্দিরের পিছন সাইড দিয়ে ঘরের গ্রিল ভেঙ্গে মন্দিরে রক্ষিত শ্রীশ্রী কালী মাতা মায়ের হাতে ৩টি স্বর্ণের চুরি ও মন্দিরের দান বাক্সে ভেঙ্গে নগদ ১,০০০/=(এক হাজার)টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
উক্ত মন্দির কমিটির সভাপতি জীবন চন্দ্র পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে থানায় এসে এজাহার দিলে একটি নিয়মিত মামলার রুজু হলে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় মামলাটির থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহজাহান আলী এর ওপর তদন্তভার দিলে ফোর্স সহ ২ এপ্রিল দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়া থানাধীন ছোট ধাপ এলাকার মোসলেম উদ্দিন এর পুত্র সেলিম প্রাং(৩৮)ও কাহালু থানাধীন বীরকেদার ইউনিয়নের জাঙ্গালপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর পুত্র ইমরান খন্দকার(২৪).কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত দু’জনের কাছ থেকে চুরি হওয়া মামামাল জব্দ করা হয়।
ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায় যে,আসামি সেলিম মন্দিরে প্রবেশ করে কালী মায়ের হাত থেকে চুরি নিয়ে যাবার বাড়িতে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে এক পর্যায়ে সেলিম তার মাকে বিস্তারিত ঘটনা বললে কালি মায়ের হাতের চুরি জোড়া নদীতে ফেলে দেন,অপর আসামী এমরান মন্দিরের দান বাক্স তালা কাটার হ্যাসকো ব্লেড টি ডিমশহর দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে আসেন। আসামিকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের পর চুরি ও হ্যাসকো ব্লেড উদ্ধার করে।আসামি সেলিম এর বিরুদ্ধে ৭টি মাদক ও চুরির মামলা এবং এমরানের বিরুদ্ধে ৩টি মাদক মামলা রয়েছে।
৩রা এপ্রিল সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।