মালয়েশিয়ায় বৈধ ভিসা-পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও বেওয়ারিশ হিসেবে বাংলাদেশীর লাশ দাফন

109

অনলাইন ডেস্কঃ-

মালয়েশিয়ায় বৈধ ভিসা-পাসপোর্ট থাকার পরও বেওয়ারিশ তকমা নিয়ে দাফন হয়েছেন এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা। নিহত মোহাম্মদ শাওন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুরের হাটচান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ আগস্ট নিজ কর্মস্থল রেখে স্থানীয় চীনা নাগরিকের ডাকে ছুটে কাজ করতে গিয়ে ৫ তলা ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন শাওন। ওই সময় দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ বছরের ৩ মার্চ আইসিইউতেই মৃত্যু হয় তার। কিন্তু ১৫ এপ্রিল বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে

মালয়েশিয়ায় বৈধ ভিসা-পাসপোর্ট থাকার পরও বেওয়ারিশ তকমা নিয়ে দাফন হয়েছেন এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা। নিহত মোহাম্মদ শাওন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুরের হাটচান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ আগস্ট নিজ কর্মস্থল রেখে স্থানীয় চীনা নাগরিকের ডাকে ছুটে কাজ করতে গিয়ে ৫ তলা ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন শাওন। ওই সময় দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ বছরের ৩ মার্চ আইসিইউতেই মৃত্যু হয় তার। কিন্তু ১৫ এপ্রিল বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয় শাওনকে।
এর মধ্যে সুযোগ বুঝে লাপাত্তা হন সেই চীনা নাগরিক। অন্যদিকে ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে আহত হওয়ায় এর দায় নেয়নি শাওনের কোম্পানির মালিক।
সাধারণত মালয়েশিয়ার হাসপাতালে কোনো বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হলে হাসপাতালের বকেয়া বিল পরিশোধ না হলে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয় না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে হাসপাতালের বিল বকেয়া থাকার পরও এবং বৈধ ভিসা থাকতেও শাওনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়- এমন প্রশ্ন তুলছেন প্রবাসীরা।

মালয়েশিয়া প্রবাসী শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, হাসপাতালে মোট বিল ৮১ হাজার ৭৪৩ রিঙ্গিত। এর মধ্যে ২২ হাজার ইন্স্যুরেন্স থেকে এবং ৯ হাজার প্রবাসীদের সহযোগিতায় মোট ৩১ হাজার রিঙ্গিত পরিশোধ করা হয়।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে শ্রম কাউন্সেলর মো. জহিরুল ইসলাম জানান, আজকে দূতাবাস এ বিষয়ে জানতে পেরেছে। এ ছাড়া বৈধ ভিসাসহ মূল পাসপোর্ট দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও কীভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন হলো সেই প্রশ্ন খোদ হাইকমিশনের কর্মকর্তার।

শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম নামে এক প্রবাসী জানান, দূতাবাস কিছুই জানে না বলে দাবি করলেও শাওনের লাশ দাফনের আগেই দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মকসেদ আলীর হোয়াটসঅ্যাপে সব ডকুমেন্টস পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ শাওন মালয়েশিয়া বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়া বিএনপির সব নেতারা জানলেও মৃত্যুর পরেও নিজ দলের নেতাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। মালয়েশিয়া বিএনপির শীর্ষ নেতারা পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছেন। এতে মালয়েশিয়া বিএনপি কর্মীদের মাঝে চলছে ক্ষোভ। বিএনপির কর্মীরা বলেন, এমন দল করে লাভ কী যখন মৃত্যুর পরে ওইসব নেতারা সামান্য কিছু টাকার জন্য একজন প্রবাসী কর্মীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে।

শাওনের মা শিরিন বেগম বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস জানার পরও কোনো ধরনের সহায়তা করেনি। আমার ছেলের পাসপোর্ট ভিসা থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় দাফন হলো। মা হয়ে ছেলের মৃত মুখটাও শেষ দেখা দেখতে পেলাম না।’সুত্রঃ- কালবেলা.কম