বগুড়ায় বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি শুরু

55

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের রাজাবাজারে এ দামে আলু বিক্রি শুরু হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সকালে আরবি হিমাগার থেকে ১২ মেট্রিক টন আলু রাজাবাজারে ১৬ খুচরা বিক্রেতার কাছে ৩০ টাকায় সরবরাহ করা হয়েছে। বিক্রেতারা ক্রেতা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি করছেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি আলু কিনতে পারবেন।
সূত্র আরও জানায়, বগুড়ায় ৩৬ হিমাগার রয়েছে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন হিমাগার থেকে রাজাবাজারে বিক্রেতাদের কাছে আলু সরবরাহ করা হবে।
রাজাবাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা শাহীন হোসেন বলেন, শুক্রবার ৪২-৪৪ টাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আলু বিক্রি হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাইকারি ৩০-৩২ বস্তা আলু কিনেছি। এগুলো সরকারি দাম ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের পাইকারি ৩৬ টাকা দামে কেনা ১০ বস্তা আলু এখনও আছে। লোকসান দিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজিতে কেনা আলু মধ্যে পচা আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে কেজিতে কোনরকম ১-২ টাকা লাভ বের করা কষ্টকর। এছাড়াও একজন ক্রেতার কাছে ৫ কেজির বেশি আলু বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আলু কিনতে আসা অর্ণব আকন্দ নামের এক যুবক বলেন, প্রশাসন ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। গতকালের চেয়ে আলুর দাম কেজিতে ৬-৮ টাকা কম। এছাড়াও কেউ চাইলে বাড়তি কিনতে পারবেন না। আশাকরি এভাবে বাজারের অন্য সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আরবি কোল্ড-স্টোরেজের সত্ত্বাধিকারী পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের পাইকারি ৩০ টাকা দামে আলু সরবরাহ করা হয়েছে। তারা ক্রেতাদের কাছে আলু ৩৬ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে শহরের বৃহৎ রাজাবাজারে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩০ টাকায় আলু সরবারহ ও ক্রেতাদের কাছে ৩৬ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।।