স্বর্ণ গ্রামের উদ্যোগে তিনশত পারিবারের মাঝে পূজার উপহার বিতরণ

উৎসবে মানুষের মুখে যে হাসি ফোটায় সেই প্রকৃত মানুষ এস,পি বগুড়া

98

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সাবগ্রাম ইউনিয়নের কৃতি সন্তান মানবতার ফেরিওয়ালা অভিরাম রায়ের প্রতিষ্ঠিত ‘স্বর্ণগ্রাম’। স্বর্ণগ্রাম মূলত কোনো গ্রামের নাম নয়। এটি একটি মানবিক সংগঠন। ২০২১ সাল থেকে আর্ত-মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এই ‘স্বর্ণগ্রাম’ সংগঠন। তারই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ব্যাডস পাবলিক স্কুল মাঠে তিন শতাধিক গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ২জন ব্যক্তিকে। ব্যাডস্ মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ও স্বর্ণগ্রামের উপদেষ্টা ড. আকতারুজ্জামান সরকার মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম-সেবা), আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বগুড়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বগুড়া পৌর কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সালেহ নয়ন, সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সরকার। গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, বস্ত্র বিতরণ শেষে স্থানীয় দুইজন ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা উপহার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম-সেবা) বলেন, ‘অভিরাম রায় অত্যন্ত কষ্টের সংগ্রামের মাধ্যমে সফল হয়েছে। যারা কষ্ট করে বড় হয়, তারা অনেক সময় অতীতকে ভ‚লে যায়। কেউ যদি অনেক উঁচুতে ওঠে সে আর নীচের দিকে তাকাতে চায় না। কিন্ত অভিরাম রায়ের মতো কিছু মানুষ আছে, যারা দৈন্যতার মধ্যে ছিল, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ছিল। সে কিন্ত আপনাদের ভুলে যায়নি। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উৎসবে-আনন্দে যিনি সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলেন তিনিই প্রকৃত মানবিক মানুষ, মানবিক মানুষ। মানুষের জন্য কিছু করতে পারা, তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে বড় পাওয়া আর নেই।