বগুড়ায় ৮৭ টাকার স্যালাইন ৫১০ টাকায় বিক্রি, দোকান সিলগালা

46

বগুড়া এক্সপ্রেস : রোগীর দুরাবস্থার সুযোগে স্বজনের কাছে ৮৭ টাকার আইভি স্যালাইনের এক প্যাকেটের মূল্য নেয়া হয় ৫১০ টাকা। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গেলে পালিয়ে যায় সেই বিক্রেতা। পরে তাওফিক মেডিসিন এন্ড সার্জিক্যাল নামের সেই ওষুধ দোকান সিলগালা করে দেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা হয়।
আভিযানিক দলটির সূত্র জানায়, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ভর্তি দুর্ঘটনায় আহত রোগীর জরুরী একটি ইন্জেক্টেবল স্যালাইন প্রয়োজন হয়। ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সামনে ঔষধের দোকানে গেলে দালাল চক্র তাকে তাওফিক মেডিসিন এন্ড সার্জিক্যাল দোকানে নিয়ে যায়। দোকানদার ৮৭ টাকার স্যালাইন ৫১০ টাকা বিক্রি করে রোগীর স্বজনের কাছে।
পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী দোকান মজনু ফার্মেসিতে ওষুধের মূল্য বিশেষভাবে তুলে ফেলে ভোক্তার কাছে বেশি মূল্য নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঔষধ ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন, একটি সক্রিয় দালালচক্র তাদের স্যালাইন বা নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ রাখতে বাধা দেয়। স্যালাইন বা এ জরুরী প্রয়োজনের ঔষধ নির্দিষ্ট কিছু দোকানে রাখা হয় এবং দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিপদাপন্ন অবস্থায় ইচ্ছেমত মূল্যে বিক্রয় করে।
সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম বলেন, সম্প্রতি ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের প্রদূর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ইন্জেক্টেবল স্যালাইনের মূল্য মোড়কের মূল্যের চাইতে বেশি নেয়া হচ্ছে। আজকেও এমন অভিযোগ শজিমেক হাসপাতাল এলাকার এক দোকানে গেলে বিক্রেতা পালিয়ে যায়। পরে দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে। আরে পাশের দোকানে মূল্য মুছে ফেলার অভিযোগে জরিমানা করা হয়।।