বগুড়ায় নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

51

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) শহরের সার্কিট হাউজের শহীদ খোকন পার্কে এ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধক ছিলেন বগুড়া
সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ রাগেবুল আহসান রিপু। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাহালু নন্দীগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু,সাগর কুমার রায়,সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা পরিষদের নির্বাহী গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ, প্যানেল চেয়ারম্যান সার্জিল আহমেদ টিপু,জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ ববি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না,সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দীকি প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, ‘নানা জটিলতা শেষে বগুড়ায় নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে শিশুদের জন্য নাট্যশালা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।’নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা চেষ্টা করে যাব। আমাদেরঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকবে বিজয় দিবসে যেন আমরা নতুন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারি।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে বগুড়ায় নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের দাবিতে অনেক আন্দোলন করা হয়েছে। আমরা অনশন করেছি, স্মারকলিপি প্রদানসহ সাক্ষরগ্রহণ করেছি। সবাইকে নিয়ে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। সেই আন্দোলনের ফসল আজকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে বগুড়ার কারুশিল্পী প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল করিম দুলালের নকশায় শহীদ খোকন পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। মিনারের উপরিভাগে পশ্চিম পাশে ‘ক খ’ ও দক্ষিণ পাশে ‘অ আ’ অক্ষর খোদায় করা ছিল।
এছাড়া মিনারের পেছনে সুন্দর অর্থবহ ভাস্কর্য স্থাপন করা ছিল। পরবর্তীতে শহীদ মিনারটি সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ মিনারটি ভেঙে ফেলে। পরে সেখানে ‘ব এ ন প ঢ’ অক্ষর সজ্জিত অদ্ভুত আকৃতির একটি মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার পর হতেই পুরাতন শহীদ মিনারের আদলে শহীদ মিনার তৈরির দাবি তোলা হয়।
জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া সদরের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর অনুরোধে শহীদ মিনার নির্মাণে জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।