এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি

গাবতলীর মড়িয়া হাইস্কুলে শহীদ মিনার গুড়িয়ে দিয়েছে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যরা

32

মুহাম্মাদ আবু মুসা
বগুড়া গাবতলীর মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনারটি রাতের আধাঁরে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদসহ অন্যান্যরা। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদসহ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী করেছেন এলাকার সর্বশ্রেনীর মানুষ। এলাকাবাসি জানান, ১৯৯৩-৯৪সালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উদ্যোগ নিয়ে এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ওই বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনারটি স্থাপন করা হয়। ওই শহীদ মিনারটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব নয়, গোলাবাড়ী থিয়েটারসহ আরো কয়েকটি সংগঠন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতায় নিমার্ণ করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অজ্ঞাত কারনে গত সোমবার রাতের আধাঁরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, সভাপতি আমিনুল ইসলামরা ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে চুরমার করে গুড়িয়ে দেয়। যা মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের মানুষসহ এলাকার সর্বশ্রেনীর মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জানার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নিদের্শ দিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল আলম এই প্রতিবেদককে জানান, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ওই বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনুমতি ছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলতে পারবে না। সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী মাদু জানান, আমি ঘটনাটি না দেখলেও শুনেছি, শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা অত্যান্ত দুঃখজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে নতুন করে শহীদ মিনার নিমার্ণ করার জন্য পুরানো এবং ভেঙ্গে যাওয়া শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ এর সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে বহু চেষ্ঠা করা হলে তিনি অজ্ঞাত কারনে ফোনটি রিসিফ করেননি। এলাকাবাসি জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্য করার পর এবার বিদ্যালয়ের কয়েকটি বড় বড় গাছ আত্নসাৎ করার জন্য রাতের আধাঁরে শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেছে। রাতের আধাঁরে শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলা নানা রহস্য ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় মহিষাবান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, গোলাবাড়ী থিয়েটার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনারটি নিমার্ণ করা হয়েছিল। কি কারনে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তা আমার জানা নেই।