স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

122

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সবরকম প্রস্তুতি নিবো। কিন্তু কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৮ আলফা এবং ডিইও ২০২০ ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের যেন উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণ থাকে; সেই ভাবেই প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে নৌবাহিনীর জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,আমাদের সবসময় লক্ষ্য আমাদের দেশটা স্বাধীন দেশ। বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে এবং আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সবরকম প্রস্তুতি নিবো। কিন্তু কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়। সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই আমরা চলবো। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবধরনের যেন উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণ থাকে; সেই ভাবেই আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে নৌবাহিনীর হাতে শিপইয়ার্ড তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য হলো আমাদের নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমাদের যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করবো। যার কাজ ইতোমধ্যেই আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। কক্সবাজার কুয়াকাটা সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছি এবং রামনাবাদে নৌবাহিনীর আরেকটি নৌঘাঁটি সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছি।’ আমাদের যে বিশাল সমুদ্র আছে, তার সম্পদটা আমরা যেন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য সীমিত পরিসরে মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি পালনের আক্ষেপ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি, আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করার কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের নামে এমন এক মহামারি সারাবিশ্বে দেখা দিল। যাতে আজ সমস্ত বিশ্ব স্থবির। অর্থনৈতিকভাবে, যোগাযোগের ক্ষেত্রে, চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রেই স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই সংক্রামণ আমাদের দেশে যেন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে তার কারণে আমাদের দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি সীমিত করে ভার্চুয়ালি করে যাচ্ছি।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জন্য সরকারের ঘোষিত বিভিন্ন বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে যেহেতু ব্যাপক কর্মসূচি করতে পারেনি। কিন্তু কতকগুলি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেটা দেশের জন্য জাতির জন্য সব থেকে বেশি কল্যাণকর। আমাদের সিদ্ধান্ত প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বালবো। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাল্লাহ প্রত্যেকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পারব। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। এটাই আমাদের নীতি। সেই নীতিমালা নিয়েই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় যারা ভূমিহীন, গৃহহীন, তাদেরকে সরকারিভাবে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।

তিনি জানান, সামনে সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষের ঠিকানা হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এটাই মুজিববর্ষ পালনের সব থেকে বড় উদ্যোগ। যা আমাদের দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবে, আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে, আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি।