মেসি-রোনালদোকে হটিয়ে ফিফা বর্ষসেরা লেভান্ডভস্কি

119

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালেদোকে হটিয়ে ২০২০ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’জিতেছেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দফতরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

যেখানে গত বছরের ২০ জুলাই থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় গত ২৫ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বেছে নেওয়া ১১ জনের তালিকা প্রকাশ করে ফিফা। আর গত শুক্রবার সংক্ষিপ্ত তালিকা তিন জনে নামিয়ে আনা হয়।

বায়ার্ন মিউনিখ ও পোল্যান্ডের ফরোয়ার্ড লেভান্ডভস্কি এর আগে গত ১ অক্টোবর বায়ার্ন-জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ও ম্যানচেস্টার সিটি-বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইনেকে হারিয়ে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন।

গত মৌসুমে লেভা সব প্রতিযোগিতা মিলে গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল করেন। ৩২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বায়ার্নের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই আসরে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেন তিনি। এমনকি বাভারিয়ানদের বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ জয়েও বড় অবদান ছিল তার।

বর্ষসেরা ফুটবলারে রেকর্ড ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার মেসি। আর রোনালদো জিতেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এই দুই জনের বাইরে আর কেউই বর্ষসেরার পুরস্কার জিততে পারেননি। তবে ২০১৮ সালের সেরা হন রিয়াল মাদ্রিদ ও ক্রোয়োশিয়ার লুকা মদ্রিচ। ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা-দুটি পুরস্কারই ঘরে তুলেছিলেন এই মিডফিল্ডার।

শুরুতে ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার আলাদাভাবে দেওয়া হতো। তবে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর দুটি পুরস্কার একসঙ্গে হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জিতেছেন মেসি। এর পরের দুই বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবারও পুরস্কারটি জিতে নেন বার্সেলোনা তারকা।

পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে আবার আলাদাভাবে দেওয়া হয় পুরস্কার দুটি। যেখানে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর জিতেন রোনালদো। পরের বছর সবকটি পুরস্কার মদ্রিচ জেতার পর গত বছর ব্যালন ডি’অর জেতার পর প্রথমবারের মতো ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জেতেন মেসি।

যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যালন ডি’অরের ৬৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ বছরের পুরস্কারটির দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ‘ফ্রান্স ফুটবল’সাময়িকী।