মোহামেডানকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু আবাহনীর

114

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ‘ডি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিলো আবাহনী লিমিটেড। জুয়েল রানা ও আফগানিস্তানের মাসিহ সাইগানির কাছ থেকে এসেছে তিনটি গোল। তিন গোলের দুটিই করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন জুয়েল রানা। অন্যটি সাইগানির। এই তিন গোলের পেছনে লম্বা থ্রো-ইনের জন্য খ্যাতি পাওয়া রায়হান হাসানের অবদানও কম নয়।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান জিলিয়ান ফ্রান্সিসকে ওয়েগসলি রদ্রিগেজ ডি সুজা ফিলহো ওরফে তোরেসের দিকে দৃষ্টি ছিল অনেকের। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার প্রথম ম্যাচে হতাশই করেছেন। বক্সের আশেপাশে ছোটাছুটি ছাড়া অন্য কিছু করতে দেখা যায়নি তাকে। বরং হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্ট ছিলেন উজ্জ্বল।

২৬ মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রোয়ে বেলফোর্টের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে যায়।

মোহামেডান আক্রমণ গড়েও গোল করতে পারেনি। দুই মিনিট পর শ্যামল ব্যাপারির হেড লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ২৯ মিনিটে মালিয়ান ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতের পাসে শাহেদ মিয়া শট নিতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নষ্ট হয় সাদা-কালোদের। দুই মিনিট পর জুয়েলের নিচু ক্রসে বেলফোর্টের শট জমে যায় গোলরক্ষক সুজন হোসেনের গ্লাভসে। প্রথমার্ধের শেষদিকের দুই গোলে মোহামেডানকে চাপে ফেলে দেয় আবাহনী। ৪১ মিনিটে রায়হানের থ্রো-ইনে সাইগানির হেড জালে জড়ায়। চার মিনিট পর নাবীব নেওয়ার জীবনের চিপে সাইগানির বাইসাইকেল কিক জুয়েলের হেডে জাল খুঁজে নেন। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে আবাহনী বিরতির পরও দুর্বার। ৫৩ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো-ইন থেকে বেলফোর্টের হেড পেয়ে জুয়েল রানা করেন ‘ট্যাপ ইন’। তিন গোলে পিছিয়ে থেকে মোহামেডান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি। ৬৩ মিনিটে সোহানুর রহমানের শট বারের বাইরে দিয়ে যায়। এছাড়া মাঝে-মধ্যে গোলকিপার সুলতান আহমেদ শাকিলকে পরীক্ষায় ফেলেও গোল করতে পারেনি সাদা-কালোরা। পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের ট্যাকটিকসের কাছে অস্ট্রেলিয়ান শন লেনের কৌশল মার খেয়ে গেছে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখতে কিছু দর্শক এসেছিল। আকাশি-নীল সমর্থকেরা ম্যাচ দেখে খুশি হলেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাদা-কালোদের।
আগামীকালের খেলা: রহমতগঞ্জ বনাম চট্টগ্রাম আবাহনী (সন্ধ্যা ৬টা, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)