বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৬ বছরেও মেরামত হয়নি শোলারতাইড় গ্রামের সেতু

188

স্টাফ রিপোর্টার,
ছয় বছর আগে বন্যায় ভেঙে পড়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোরারতাইড় গ্রামের কালারতাইড় পাড়ার সেতুর দক্ষিণের এক পাটাতন। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সেতুটি মেরামত ও সংষ্কার না করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সেতু দিয়েই চলাচল করে পাঁচ-সাত গ্রামের অন্তত কয়েক হাজার মানুষ। সরকারি সেতুটি মেরামত না করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেতুর দক্ষিণ পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সেতু। ওই সেতু দিয়েই প্রতিদিন বাঁশহাটা, শোলারতাইড়, কালারতাইড়, কাজলা, কুতুবপুর, জোড়গাছা গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেতু পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। পায়ে হেটে কোন রকম চলাচল করা গেলেও সেতুদিয়ে পাড় হতে পারে না কোন যানবাহন। এতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

এলাকাবাসীরা জানান, ২০১৪ সালের বন্যায় সেতুর দক্ষিণ পাটাতন ভেঙে পড়ে। সেতুর স্থায়িত্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় দুই পাশেরন দেওয়ালের কিছু অংশ নদী খসে পরে গেছে। ফলে চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সেতু পারাপারের সময় কুতুবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামে চিকিৎসক মোটর সাইকেল নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ভাঙার ভিতর পরে গিয়ে গুরতর আহত হয়। অটো ভ্যানচালকের পায়ের মাংস খসে পরে। এছাড়া অনেক দুর্ঘটনার নজির আছে সেতু পারাপারে।

সেতুর পশ্চিম পাশের মুদি দোকানদার মানিক মিয়া ও পূর্বপাশ্বের মুদি দোকানদার নজরুল ইসলাম জানান, ছয় বছর আগে বন্যায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেতুটি মেরামত করার জন্য ইট-বালু, পাথর-সিমেন্ট নিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয়নি। সেতুর দক্ষিণে সড়কে কেটে নেয় সংস্কার কাজে জড়িতরা।

একই গ্রামের মুসলেম আলী, রফিকুল, রবিন, রাব্বী, কলেজ ছাত্র রাসেল মিয়া জানান, ছোট ভাইবোনেরা সেতু পারাপার হতে ভয় পাওয়ায় আজ তারা স্কুল বিমুখ। এই বাঁশের পুল দিয়ে কোন মালামাল আনা নেয়া করা যায় না। অনেক পথ ঘুরে ভিন্ন পথে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়া করা হয়। যে কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানার জন্যে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করায় কোন কিছু জানা সম্ভব হয়নি।