শাজাহানপুরে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিরে ফেলার প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন

233

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত মৎস্যজীবী লীগের কর্মী সভায় বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিরে ফেলার প্রতিবাদে আজ শেরপুর দলীয় কার্যালয়ের সম্মূখে ০৯/০২/২০২১ইং তারিখে বিকাল ০৩.৩০ ঘটিকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি জনাব আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহাতাব উদ্দিন(লাল) এর নির্দেশে গত ০৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং তারিখে শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের কর্মী সভায়,সংগঠন বহির্ভূত বিতর্কিত বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবঃ কামরুজ্জামান মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ,পবন সরকারদের নেতৃত্বে দলবল সহ সন্ত্রাসী কাদায়, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে উপস্থিত হয়ে জেলা, উপজেলা শাখার উপস্থিত আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতা কর্মীদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারমুখী আচরণ করা সহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,মাদার অফ হিউম্যানিটি বিশ্ব নেত্রী দেশরত্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের মাননীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবূল আহসান রিপু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মোহন মহোদয়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার অসম্মান জনক ভাবে টেনেহিঁচড়ে ছিরে ফেলার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে শেরপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। শেরপুর উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব জনাব মোত্তালিব সরকারের নেতৃত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক জনাব রাজু খন্দকার তিনি তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের প্রতি প্রশ্নঃ রেখে বলেন জনাব আবুল কালাম এবং জনাব মাহাতাব উদ্দিন লাল এর নেতৃত্বে বগুড়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি বৃদ্যমান থাকা অবস্থায় কেন আরও একটি সংগঠন বহির্ভূত আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে? বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে যে বিতর্কিত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে,তাদের বিরুদ্ধে তো আমার জেলা মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দ,কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ বরাবর অভিযোগ করেছেন। অথচ কেন্দ্রীয় কমিটি এখন পর্যন্ত সমস্যা সুরাহা করতে কোন পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করছেন না ? মাননীয় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আরও জানতে চাই বগুড়া জেলায় যে বিতর্কিত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে,তা থেকে ইতিমধ্যে দুইজন কে বহিষ্কার করেছেন এবং আরো দুইজনের বহিষ্কার চেয়ে আবেদন করেছেন তথা কথিত সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মানিক সাহেব। এতো কিছু পরেও তাহলে কি ভাবে এই বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি এখনো বৃদ্ধমান কেন,কোন অলৌকিক ক্ষমতার বলে।
গতকাল শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের কর্মী সভায় যে নেক্কার জনক ঘটনা তাহারা ঘটিয়েছেন এই দায়ভার আপনারা এড়াতে পারেন না,আপনাদের সংগঠন বহির্ভূতভাবে সৃষ্টি বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটির কত বড় দুঃসাহস তাহারা আমাদের জেলা,উপজেলার নেতা কর্মীদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে,এমনকি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনকের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিরে ফেলে। একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যারা আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধুর ছবি জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিরতে পারে,তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারে না। এই ধরনের সুবিধা বাদী আওয়ামী মুখোশধারীরা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে,এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে,এখনি সময় এদের বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আল আমিন আকন্দ তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন শাজাহানপুর উপজেলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিলে আমরা বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের সর্ব স্তরের নেতা কর্মীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে প্রতিবাদ মুলক বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ রহমান,মোঃ হাসান,মোঃ বাচ্চু সরকার,মোঃ ফারুক মোঃ সাইফুল্লাহ,মোঃ হারুন আর রশিদ,মোঃওয়াছি কামাল টুটুল,মোঃ মাহামুদুল হাসান(মিশু),সৈয়দ রায়হান হোসেন(রাফি) শহর যুবলীগ,শেরপুর,মোঃ এরশাদ(রানা),সেলিম হোসেন,বাচ্চু সরকার,আঃ হাইসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।